সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ ঘোষণার পর শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি এবং গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা করে। তাই ১৫ দিনের মধ্যে শ্রমিকদের সেই পাওনা নির্ধারণে গত ৫ জুলাই একটি কমিটি গঠন করে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, পাঁচ সদস্যের এ কমিটিতে অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহকে সভাপতি এবং সিনিয়র সহকারী সচিব নুরউদ্দিন আল ফারুককে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এবং অন্য তিন সদস্য হচ্ছেন- অর্থ বিভাগের যুগ্মসচিব মো. ওয়ালিদ হোসেন, অতিরিক্ত হিসাব মহানিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মমিনুল হক ভুঁইয়া এবং অতিরিক্ত উপ-মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. সাইদুর রহমান সরকার।
ওই কমিটির কার্যপরিধিতে জানানো হয়েছে, কমিটি সংশ্লিষ্ট আইন এবং বিধি-বিধানের আওতায় অবসরপ্রাপ্ত এবং বর্তমানে স্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা নির্ধারণ করবে। এই নির্দেশনা জারি হওয়ার দিন থেকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সেই পাওনা নির্ধারণ করে প্রতিবেদন অর্থ মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবে। কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।
এই ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দপত্রে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ‘পরিচালন বা অপারেশন লোন’ ঋণ হিসেবে এ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়ছে। বরাদ্দকৃত অর্থ ২০১৯-২০ অর্থবছরের বিজেএমসির মিলগুলোর শ্রমিকদের বেতনভাতা বাদে অন্য কোনো খাতে ব্যয় করা যাবে না। বিজেএমসির প্রত্যেক শ্রমিকের সুনির্দিষ্ট ব্যাংকে অ্যাকাউন্টপেয়ীর মাধ্যমে এ টাকা পরিশোষধ করতে হবে। বরাদ্দকৃত অর্থ বিজেএমসির অনুকূলে ‘পরিচালন ঋণ’ হিসেবে গণ্য হবে যা আগামী ২০ বছরে (পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ) ৫ শতাংশ সুদে ষান্মাসিক কিস্তিতে এ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। এ জন্য অর্থ বিভাগের সাথে বিজেএমসিকে একটি ঋণ চুক্তি সম্পাদন করতে হবে।
ওই চিঠিতে বিশেষভাবে বলা হয়েছে, বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে সরকারের অবশ্যই বিদ্যমান নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। বিধিবহির্ভূতভাবে কোনো অর্থ পরিশোধ করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন।
বস্ত্র এবং পাট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পাটকল শ্রমিকদের নোটিশ মেয়াদের অর্থাৎ জুলাই-আগস্টের ৬০ দিনের মজুরিও বকেয়াও যথারীতি পরিশোধ করা হবে। প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ), গ্র্যাচুইটি এবং গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধাসহ অবশিষ্ট সব পাওনার ৫০ শতাংশ স্ব-স্ব ব্যাংক হিসাবে এবং বাকি ৫০ শতাংশ স্ব-স্ব নামে সঞ্চয়পত্র আকারে সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করা হবে। সব ক্ষেত্রেই মজুরি কমিশন-২০১৫ এর ভিত্তিতেই পাওনা হিসাব করা হবে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে