সম্প্রতি বয়স উত্তীর্ণদের নির্বাহী আদেশে নিয়োগ, চাকরির শুরুতে দশম গ্রেডে বেতন দেওয়া, নতুন পদ সৃষ্টি, অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়’ স্থায়ী নিয়োগের সুপারিশ বাতিল করাসহ বিভিন্ন দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা।
করোনার এই মহামারিকালে রোগীর নমুনা সংগ্রহসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনরত এই স্বাস্থ্যকর্মীরা রোববার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকার মহাখালী স্বাস্থ্য ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করে।
আজকের কর্মসূচি শেষে বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমটিএ) সভাপতি মো. আলমাছ আলী খান জানান, আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদের দাবি বাস্তবায়ন না বলে ৯ জুলাই সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত সারাদেশের সকল সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালন করা হবে।
এদিকে, অবস্থান ধর্মঘটে স্বাস্থ্য অধিদপ্তররের অধীন বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এবং বেকার মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা অংশ নেন।
আন্দোলনরত বিএমটিএ’র অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে- ডিপ্লোমা মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড চালু, স্বেচ্ছাসেবক/ অস্থায়ী ভিত্তিতে/ মাস্টাররোলের মাধ্যমে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে নিয়োগ বন্ধ, ‘ওয়ান আমব্রেলা কনসেপ্ট’ বাস্তবায়ন, কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে পাশকৃতদেরকে স্বাস্থ্য বিভাগে নিয়োগ না দেওয়া।
এছাড়া, অবস্থান ধর্মঘট ও সমাবেশে বিএমটিএ সভাপতি মো. আলমাছ আলী খান, মহাসচিব মো. মোশাররফ হোসেন খান ছাড়াও অন্য নেতারা বক্তব্য দেন।
বক্তারা অভিযোগ করে জানান, স্বাস্থ্য বিভাগ মেডিকেল টেকনোলজিস্টদেরকে ‘যথাযথভাবে’ মূল্যায়ন করছে না। এমনকি অনেকাংশে তাদের কাজেরও স্বীকৃতিও তারা প্রদান করছে না।
তারা জানান, একযুগের বেশী সময় ধরে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ না করায় ইতোমধ্যে কয়েক হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্টের চাকরিতে ঢোকার বয়স পেরিয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমন ‘উদাসীনতার’ কারণেই মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান তারা।
আনন্দবাজার/শাহী