শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জরিমানা ছাড়াই বাড়ছে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সময়!

বৈশ্বিক মহামারীকালে বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিল নিয়ে গ্রাহকদের সমস্যা হওয়ার কারণে আরও কিছু দিন আবাসিক গ্রাহকদের বিলম্ব মাশুল মওকুফের চিন্তা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ সচিব সুলতান আহমেদ।

বিদ্যুৎ সচিব বলেন, অতিরিক্ত বিল নিয়ে তদন্ত কমিটির সুপারিশে বিভিন্ন বিতরণ কোম্পানির ২৯০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে নানা রকম বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সঙ্কটকালে ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিলে বিলম্ব ফি মওকুফ করা হয়েছিল। আর সেই হিসাবে জুন মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে পুরোনো বিল পরিশােধের কথা ছিল।

কিন্তু করোনাভাইরাসের তাণ্ডব দেখা দেওয়ার পর মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার না দেখে প্রকৃত বিলের কাছাকাছি একটি অনুমিত বিল তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল মন্ত্রণালয়। তবে এতে অনেকের অন্যবারের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি বিল আসে। যেমন প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন অভিযোগ জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৪ হাজার ৬০৪ টাকা বিল আসে। কিন্তু মে মাসে ২৯ হাজার ৮০১ টাকা বিল আসে।

আজ রবিবার বিদ্যুৎ বিভাগের আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্ত বিতরণ সংস্থা/কোম্পানিগুলোর প্রদত্ত প্রতিবেদনে বিল সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিয়মের ব্যাখ্যা করা হয়।

প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠান পিডিবির মোট ৩২ লাখ ১৮ হাজার ৫১৫ জন গ্রাহকের মধ্যে বিল নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে দুই হাজার ৫৮২টি, ডিপিডিসির মোট ৯ লাখ ২৬ হাজার ৬৮৯ জন গ্রাহকের মধ্যে অভিযোগ পাওয়া গেছে ১৫ হাজার ২৬৬টি, ডেসকোর ১০ লাখ গ্রাহকের মধ্যে অভিযোগ পাওয়া গেছে ৫ হাজার ৬৫৭টি, নেসকোর মোট ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩৭৮ জন গ্রাহকের মধ্যে অভিযোগ পাওয়া গেছে দুই হাজার ৫২৪টি এবং ওজোপাডিকোর মোট ১২ লাখ ১৩ হাজার গ্রাহকের মধ্যে অভিযোগ পাওয়া গেছে ৫৫৫টি।

আরও পড়ুনঃ  সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস

বিদ্যুৎ সচিব বলেন, বিল নিয়ে অভিযোগগুলো নিষ্পত্তির স্বার্থে আবাসিক গ্রাহকদের বিলম্ব ফি মওকুফের সময়সীমা আরও কিছুদিন বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের আালোচনা হয়েছে। তবে অন্যান্য শ্রেণির গ্রাহকদের জন্য তেমন চিন্তা এখনও নেই বলে জানান সচিব।

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন