ঠাকুরগাঁওয়ে এ বছর মিষ্টি কুমড়ার ফলন বেশ ভালো হয়েছে। কিন্তু ফলন ভালো হলেও নানা কারণে কৃষক ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। পরিবহন খরচ অনেক বেড়ে যাওয়ায় কুমড়ার মূল্য কমে গেছে বলে কৃষকদের অভিযোগ। ক্ষেতের পাশে, সড়কের পাশে হাজার হাজার মিষ্টি কুমড়ার স্তুপ জমে আছে।
কৃষক এবং ব্যবসায়ীরা এখন অপেক্ষায় আছেন সুলভ ভাড়ায় যদি ট্রাক পাওয়া যায় এই আশায়।
সদর উপজেলার বদেশ্বরী গ্রামের কৃষক আহসান উল্লাহ মেহেদী জানান, এবার মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু মূল্য না পাওয়ায় হতাশায় ভুগছি। উৎপাদন খরচ তোলা নিয়ে বেশ দুঃশ্চিন্তায় আছি।
এই ব্যাপারে কৃষি বিভাগ জানায়, ঠাকুরগাঁও জেলায় চলতি বছর ১২শ হেক্টরে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করা হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ২৪ হাজার টন। যা দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় সর্বোচ্চ।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আফতাব হোসেন বলেন, পরিবহন খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। তাই মূল্য কমে গিয়ে এখন ৩/৪ টাকা কেজি দরে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে। এই মূল্যে বিক্রি করলে কৃষকের লাভ হবে না। তবে মিষ্টি কুমড়া সহজে পচে না, সংরক্ষণ করা যাবে। তাছাড়া কুমড়া পরিবহনের জন্য স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা গেলে পরিবহন সমস্যার সমাধান হতো।
মিষ্টি কুমড়া উৎপাদনকারী কৃষক যাতে ন্যায্য মূল্য পায় সেজন্য জেলা প্রশাসন করোনাকালীন ত্রাণ হিসেবে বিতরণের জন্য খাদ্যদ্রব্যের সাথে একটি করে মিষ্টি কুমড়াও যুক্ত করেছেন।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে