ঢাকা | বৃহস্পতিবার
২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ আর নবায়ন করা হবে না

দেশে দ্রুত বিদ্যুৎ পেতে চালু হওয়া কুইক রেন্টাল প্ল্যান্ট যুগের ইতি ঘটতে যাচ্ছে। নতুন করে আর কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ নবায়ন করা হবে না বলে জানিয়েছে সরকার। কারণ প্রতি বছর বিদ্যুৎখাতে ভর্তুকি সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার মধ্যে বড় অংশই ব্যয় হয় এসব প্ল্যান্টের পেছনে।

তবে বিশ্লেষকরা দাবি করছেন, খুব দ্রুত এসব কেন্দ্র বন্ধ করতে পারলে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব প্রতিবছর।

জানা গেছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের সময়, দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন ছিলো মাত্র ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট এবং বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিলো মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও কম মানুষ।

ওই সময়ে শিল্প এবং কলকারখানার প্রসার প্রবৃদ্ধি অর্জনে, তেল ভিত্তিক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে কারণে আলো আসতে শুরু করে দেশে। কিন্তু ২০১০ সালে এসব কেন্দ্র চালুর পর, সরকার বলেছিলো তিন থেকে পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে বিলুপ্তি ঘটবে এই কুইক রেন্টালের। কিন্তু, প্চুরতি বছর চুক্তি নবায়নের ঘটনায় সমালোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে।

বর্তমানে দেশের ১৩৭ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে কুইক রেন্টাল রয়েছে ১১টি এবং রেন্টাল ৯টি। এসব কেন্দ্র জ্বালানি উৎপাদন না করলেও ভাড়া বা ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বাবদ বছরে সরকারকে অন্তত আড়াই হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয়।

তবে বিদ্যুৎ বিভাগের নীতি এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেল ইতোমধ্যে ১২ টি রেন্টাল প্ল্যান্ট বন্ধ করা হয়েছে এবং ভাড়ায় চালিত আর কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ নবায়ন করা হবে না বলে জানায়।

এই ব্যাপারে ডিজি পাওয়ার সেল মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন জানান, বছরে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা, যেটা বিপিটিপির জন্য সরকারকে ভর্তুকি দিতে হয়। ক্যাপাসিটির বড় একটি অংশ সেখানে ভাগ করে দিতে হয়। যেসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র খরচ বেশি সেগুলো আর নবায়ন করা হবে না।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন