ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানদেহে ভারতের তৈরি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল আগামী জুলাইয়ে

সম্প্রতি ভারত নিজেদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন ট্রায়াল দেওয়ার অনুমোদন পেয়েছে। কোভাক্সিন নামের ভ্যাকসিনটি প্রাণীর ওপর ট্রায়ালে সফলতা পাওয়ার পর দেশটির সরকার আগামী জুলাই থেকে এটি মানব শরীরে প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে।

তবে হায়দ্রাবাদ-ভিত্তিক কোম্পানি ‘ভারত বায়োটেকের’ এই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে কত মানুষকে যুক্ত করা হবে, সেটি তারা এখনও জানায়নি। সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত ১২০টি ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে হিউম্যান ট্রায়ালের পর্যায়ে আছে ১০টির মতো। ভারতে ১২টির মতো কোম্পানি ভ্যাকসিন তৈরি করলেও এখন পর্যন্ত এই একটির হিউম্যান ট্রায়ালের অনুমতি পেয়েছে।

ভ্যাকসিন বা টিকা মূলত কোনো রোগকে প্রতিরোধ করার জন্য শরীরে দেওয়া হয়। অধিকাংশ ভ্যাকসিন সংশ্লিষ্ট ভাইরাসের দুর্বল ভার্সনে তৈরি করে প্রয়োগ করা হয়। কোনো ব্যক্তি সংক্রমিত হলেও ভ্যাকসিনের কারণে অসুস্থ হওয়ার আগেই শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠে। সেই সাথে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে রোগটি ছড়ায় না।

ভ্যাকসিন সরবরাহের ক্ষেত্রে ভারতের অভিজ্ঞতা বেশ সমৃদ্ধ। দেশটির পুনে-ভিত্তিক সিরাম ইন্সটিটিউট পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন প্রস্ততকারক কোম্পানি। সম্প্রতি  ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য তারা চুক্তি করেছে।

কোনো প্রতিষেধক না থাকা করোনার টিকা কিংবা ওষুধ বের করতে চীন, আমেরিকা এবং ব্রিটেনের মতো দেশ তৎপর হয়ে উঠেছে। তিনটি দেশই বলছে, সেপ্টেম্বরের ভেতরে অন্তত যে কোনো কোম্পানির একটি ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। তবে সেই ভ্যাকসিন পাওয়া গেলেও সাধারণ মানুষের হাতে আসতে এক বছরের বেশি সময় লেগে যাবে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন