ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঁশখালীতে কাঠের সেতু ভেঙে ৩ হাজার মানুষের দূর্ভোগ

সম্প্রতি বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়নের খয়রাতি সড়কের পাশের ২৪ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি কাঠের সেতু ভেঙে পড়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুই গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষকে।

এদিকে, ছনুয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আওতাধীন লস্কর মৌলভীপাড়ার একাংশ ও হানিফপাড়ার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম কাঠের সেতুটি। এখানে ১টি হেফজখানা, ১টি ইবতেদায়ী মাদরাসা, ৩টি মসজিদ রয়েছে।

জানা যায়, ছনুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল হক চৌধুরী এই কাঠের ব্রিজটি স্থাপন করেন। পরে ভেঙে গেলে কাঠের সেতুটি মেরামতের আর উদ্যোগ নেয়া হয়নি সরকারিভাবে।

ফলে স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে কাঠের সাঁকো তৈরী করে কোনমতে যাতায়াত সচল রাখেন। কিন্তু প্রতিবছর বর্ষায় পানির স্রোতে কাঠের ব্রিজটি ভেসে যায়। আর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন ২ গ্রামের ৩ হাজার মানুষ।

সর্বশেষ চলতি বছরের গত ১২ জুন সেই কাঠের সেতুটি ভেঙে যায়। এর ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে স্থানীয়রা গত ১৭ জুন একটি গাছ ফেলে সাঁকো তৈরী করেন। সেটি ব্যবহার করে ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয়রা চলাচল অব্যাহত রেখেছেন।

সেখানে একটি কালভার্ট স্থাপনের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সাথে নানাভাবে যোগাযোগ করছেন ওই এলাকার বাসিন্দা কলেজছাত্র মো. শোয়াইব। তিনি জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যান একটি কালভার্ট স্থাপনের আশ্বাস দিয়েছেন। তাদের মতে ভাঙা অংশে একটি কালভার্ট করা গেলে ৩ হাজার মানুষ যাতায়াতের দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে।

ছনুয়া ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল আবছার সিকদার দৈনিক আনন্দবাজারকে জানান, বিষয়টি আমি অবগত আছি। আমি গিয়ে ইতিমধ্যে স্থানটি পরিদর্শন করেছি। সেখানে একটা কালভার্ট স্থাপনের চেষ্টা চলছে।

প্রশঙ্গত এ বিষয়ে জানতে ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম হারুনুর রশীদকে ফোন করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন