করোনা মহামারিতে থেমে গেছে পিরোজপুরের আটঘর নৌকার হাট। ক্রেতা না থাকায় বেশ সমস্যার সম্মুখে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন হাটে আসা বিক্রেতারা।
বর্ষায় অনেক বছর ধরে নৌকা কেনাবেচা করে জীবিকা নির্বাহ করে। পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়নের এলাকার মানুষ। গেল শুক্রবার হাটে গিয়ে দেখা যায়, নৌকার ক্রেতা না থাকায় অসহায় অবস্থায় বসে আছেন বিক্রেতারা। এ অবস্থায় তারা জীবন-জীবিকার অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।
এই ব্যাপারে নৌকার আড়তদার সঞ্জীব হাওলাদার জানান, তিনি প্রতিবছর পুঁজি খাটিয়ে বর্ষা মৌসুমে পাঁচ শতাধিক নৌকা তৈরি করেন। চার মাসে এই হাটে লাখখানেক এর মত নৌকা বেচাকেনা হয়। কিন্তু মহামারিতে চলতি বছর নৌকার মৌসুম শুরু হলেও হাট প্রায় ক্রেতাশূন্য।
প্রতিটি নৌকা আড়াই থেকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করেন জানিয়ে তিনি বলেন, এক-দেড় বছর টেকসই থাকে এসব নৌকা। মাছ ধরা, মাছের ঘেরের কাজসহ বিল অঞ্চলে ভাসমান হাট-বাজারে বেচাকেনা, যাতায়াত ইত্যাদি সব কাজে নৌকাই একমাত্র ভরসা। ঝালকাঠি-পিরোজপুর ছাড়াও বরিশাল এবং মাদারীপুর-ফরিদপুরের লোজজন এ হাটে এসে নৌকা কিনে নিয়ে যায়।
আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখর সিকদার জানিয়েছেন, শত বছরের ঐতিহ্যবাহী হাটটি চলতি বছর ইজারা হয়েছে ২৫ লাখ টাকায়। বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ একেবারেই কর্মহীন হয়ে পড়ায় হাটে ক্রেতা নেই। ব্যবসায়ী ছাড়াও এ বছর হাটের ইজারাদারকে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হতে হবে।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, নৌকাশিল্পের সাথে জড়িতদের এই দুর্দিনে ঋণসহ সহায়তা দেওয়ার ব্যপারে চেষ্টা করা হবে।
আনদবাজার/এইচ এস কে