বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি মণ ধানের দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা

সারাদেশে বেড়েই চলছে ধানের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি মণ ধানে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার, মিলার, বেপারী ও মজুদদাররা একসঙ্গে ধান কিনতে বাজারে নামায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে, করোনার কারণে অনেকে ধান বিক্রি করছে না। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, সামনে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। আমনের আবাদ ঠিক মতো করতে না পারলে নিজেদের খাওয়ার ধানও থাকবে না। এ কারণে এখনই ধান বিক্রি করতে চাইছেন না তারা। ফলে ভর মৌসুমে বাজারে যে পরিমাণ ধান ওঠার কথা সে পরিমাণ ওঠেনি। সেজন্য বাজারে ধানের যোগানের চাইতে ক্রেতা বেশি। এ কারণে বাড়ছে ধানের দাম।

জানা যায়, আঠাশ, কাজললতা ও মিনিকেট (সরু) জাতের ধানের দাম এখন অনেক বেশি। যে ধান গত বছর এই সময়ে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা মণ ছিল এখন তা হাজারে ঠেকেছে। পাশাপাশি সরু ধান গত বছর এই সময়ে ৮০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হলেও এখন এক হাজার ১০০ টাকার বেশি বিক্রি হচ্ছে। নত্রিশ জাতের ধান ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, কাজললতা ৯০০ থেকে ৯৫০টাকা, কাটারী ভোগ ১১০০ টাকা, মিনিকেট প্রতি মণ ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ধানের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চালের বাজারো। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সবধরনের চালের দাম। মিল মালিকরা বলছেন, ধানের দামের সঙ্গে সমন্বয় করেই বাড়ছে চালের দাম।

মিনিকেট চাল ঈদের আগে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা ছিল, তা এখন ৫০ টাকা, আঠাশ ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৬ টাকা, কাজললতাও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। এমনকি যে মোটা চাল ৩০ টাকা ছিল, তার দামও বেড়ে গিয়ে এখন ৪০ টাকায় ঠেকেছে।

আরও পড়ুনঃ  তামাকমুক্ত দেশ কবে?

খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর জুনে যে চালের কেজি ছিল ৩২ থেকে ৩৩ টাকা, সেই চাল এ বছরে একই সময়ে ৪৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত দুই বছরের মধ্যে এবারই চালের দাম সবচেয়ে বেশি।

চাল ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, আমন মৌসুমের আগ পর্যন্ত চালের বাজারে দাম বাড়তেই থাকবে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বাইরে থেকে সহজেই চাল আমদানি করা যাবে না মনে করে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী, ফড়িয়া ও আড়তদার ধান-চাল মজুত করছেন।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন