বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদ্যুৎ বিভাগে বরাদ্দ কমেছে এক হাজার ২৯৩ কোটি টাকা

নতুন অর্থবছরের (২০২০-২০২১) বাজেটে বরাদ্দ কমেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ রয়েছে ২৮ হাজার ৫১ কোটি টাকা। নতুন অর্থবছরে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ২৬ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা। সেই হিসেবে বরাদ্দ কম প্রস্তাব করা হয়েছে এক হাজার ২৯৩ কোটি টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকালে জাতীয় সংসদে ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’ শিরোনামে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বাজেটে এ প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

অর্থমন্ত্রী জানান, ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নতি করেছি। দেশের ৯৬ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুৎসুবিধার আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ৫১০ কিলোওয়াট-আওয়ারে উন্নীত করেছি। বর্তমানে ১৬ হাজার ৮৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৪৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন, দুই হাজার ৭৮৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১২টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি সই প্রক্রিয়াধীন। তাছাড়া ৬৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ছয়টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে আরও ১৯ হাজার ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, দেশীয় প্রাকৃতিক গ্যাস দিয়ে ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটানো সম্ভব নয় বলে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির লক্ষ্যে মহেশখালীতে দৈনিক প্রায় এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ভাসমান সংরক্ষণাগার ও পুনঃগ্যাসায়ন ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে দৈনিক গড়ে ৫৬০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি জাতীয় গ্যাস গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। এছাড়া মাতারবাড়ীতে দৈনিক এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ল্যান্ড-বেজড এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই ও টার্মিনাল ডেভেলপার সিলেকশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  দুই দশকে ৭৬ জনের জনের প্রাণহানি

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন