মহাকাশ ও মহাসাগরজয়ী একমাত্র মানুষ ক্যাথি সুলিভান। গত রোববার পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে ১০ হাজার ৯২৮ মিটার (৩৫ হাজার ৮৩৫ ফুট) গভীর চ্যালেঞ্জার ডিপে পৌঁছেছেন এই নাসার নভোচারী ও সমুদ্রবিজ্ঞানী।
জানা যায়, অ্যাডভেঞ্চার কোম্পানি আইয়োস ও সাগরতলের প্রযুক্তি স্পেশালিস্ট প্রতিষ্ঠান ক্যালাদান ওশানিকের যৌথ আয়োজন ‘রিং অব ফায়ার’ অভিযান পরিচালিত হয়। মারিয়ানা ট্রেঞ্চে অবস্থিত চ্যালেঞ্জার ডিপে এই অভিযান সামনে রেখে তিনজন নির্ভীক অভিযাত্রীকে আমন্ত্রণ জানায় আইয়োস, যাকে তারা বলছেন ‘মিশন স্পেশালিস্টস’। মারিয়ানা ট্রেঞ্চের কাছাকাছি ভূমি হলো গুয়াম দ্বীপ।
তিনজনের মধ্যে প্রথমে সুলিভানই ১০ ঘণ্টার এই দীর্ঘ ও শ্বসরুদ্ধকর অভিযানে মহাসাগরের সবচেয়ে গভীরে পৌঁছেন। বাকি দুজনের চলতি সপ্তাহেই তাকে অনুসরণ করে সেখানে পৌঁছানোর কথা।
ক্যাথি সুলিভান বলেন, আমি জানি চার্টে এটি (চ্যালেঞ্জার ডিপ) ব্যাথিমেট্রিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন, গঠনে বিশিষ্ট আর ভূমিকম্প প্রবণও। কিন্তু এসব সব তথ্য আসলে বোধশক্তির ব্যাপার। আমার মনে হয়, কোনো সমুদ্র বিজ্ঞানীই এমন আমন্ত্রণকে পায়ে ঠেলে দিতে পারবেন না।
১৯৭৮ সালে গ্র্যাজুয়েশন করার পরই নাসায় যোগ দেন সুলিভান এবং ১৯৮৪ সালে স্পেস শাটল চ্যালেঞ্জারের অংশ হয়ে প্রথম আমেরিকান নারী হিসেবে মহাকাশে পৌঁছে ইতিহাস গড়েন। নাসা ক্যারিয়ারে এরপর আরও দুটি মিশনে নাম লেখান সুলিভান। ১৯৯০ সালে স্পেস শাটল ডিসকভারিতে এবং ১৯৯২ সালে স্পেস শাটল আটলান্টিসেও অন্যতম অভিযাত্রী হিসেবে ছিলেন তিনি।
পরবর্তীতে তিনি ন্যাশনাল ওশানিক অ্যান্ড অ্যাটমসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন এবং এভাবেই তার মহাসাগরের নতুন অধ্যায় শুরু হয়।
সুলিভান বলেন, আমরা চেয়েছিলাম প্রথম নারী হিসেবে এমন একজন চ্যালেঞ্জার ডিপ মিশনে নামুক যে সত্যিকার অর্থে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারবে। ক্যাথির রয়েছে অনবদ্য ট্র্যাক রেকর্ড। তিনি অষ্টম মানব হিসেবে এ কাজটি করেছেন, এটা দুর্দান্ত এক অভিযান।
আনন্দবাজার/টি এস পি