জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এগারতম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মী সুলতান মুহাম্মদ ওয়াসী। ওয়াসির অকালে চলে যাওয়ায় তার মা এবং ছোটভাই অতিক্রম করছে মানবেতর জীবন।ওয়াসীর বয়স যখন দশ বছর তখন তার বাবা তাদের ছেড়ে চলে যায় ফলে পরিবারটির অভিভাবক শূণ্যতা এবং অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে সময় পার করছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ওয়াসির মৃত্যুর পর বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তার প্রাতিষ্ঠানিক বাস্তবায়ন হয়নি। ব্যক্তিউদ্যোগে সেসময়ে কিছু সহযোগীতা পেলেও চলমান করোনা সংকটে তাদের পাশে দাঁড়ানোর মতো সাড়া কোথাও থেকে না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ওয়াসীর মা।
এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে ওয়াসীর মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং সহযোগিতা কামনা করেন।
ওয়াসীর পরিবারকে সহায়তা দেওয়া প্রসঙ্গে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য এন আই আহমেদ সৈকত বলেন, আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে মানবিক দৃষ্টিতে তাদের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষুদ্র প্রয়াস চালিয়েছি মাত্র। আমি মনে করি ওয়াসী ছাত্রলীগের একজন নিবেদিত কর্মী ছিল ফলে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের তার পরিবারের দুঃসময়ে সহযোগিতার হাত বাড়ানো উচিত। আমার যায়গা থেকে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোটভাই এর পরিবার হিসেবে আমি সহযোগীতা করে যাব।
উল্লেখ্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দ্বিতীয় সন্মেলন ২০ জুলাই ২০১৯ তারিখে সম্মেলন চলাকালীন সময় হিটস্ট্রোক করেন ওয়াসী এবং পরবর্তীতে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করে ।