শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম বন্দরে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ: আক্রান্ত ৬১ জন

চট্টগ্রাম বন্দর, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ডিং (সিএন্ডএফ) এজেন্টস এসোসিয়েশন এবং ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো (আইসিডি) কর্মীদের মধ্যে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের হার বাড়ছে। এসব কর্মীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৯২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মী রয়েছেন ৬১ জন।

জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরে ৭ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন। কাস্টম হাউসে কর্মরত আছেন ৮শ কর্মী এবং সিএন্ডএফ এজেন্টগুলোয় ২৫০০ থেকে ৩ হাজার জন।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ৪ জুন পর্যন্ত দেশের প্রধান এ সমুদ্র বন্দরে কর্মরত ৬১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন ৪ জন।

গত ৫ মে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা যান আবদুল হালিম নামে বন্দরের পরিবহণ বিভাগের এক কর্মী। যদিও তার করোনাভাইরাস পরীক্ষার রির্পোট আসে ৬ মে। পরীক্ষায় কোভিড-১৯ পজিটিভ হন আবদুল হালিম। পরিবহণ বিভাগের আরও এক কর্মী, মেকানিক্যাল বিভাগের এক কর্মী এবং বন্দর চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারীও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

এদিকে বন্দরকর্মীদের করোনাভাইরাস পরীক্ষায় চট্টগ্রাম পোর্ট এমপ্লয়ী ভবনে নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছে। প্রতিদিন গড়ে ১৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। বন্দরকর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা বিনামূল্যে সেবাটি পাচ্ছেন।

এদিকে, আজ শুক্রবার (৫ জুন) পর্যন্ত চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ২৩ জন রাজস্ব কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে গত ২ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন জসীম উদ্দিন নামে একজন রাজস্ব কর্মকর্তা।

আরও পড়ুনঃ  পাইকগাছা উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যানের করোনা জয়

এর বাইরে সিএন্ডএফ এজেন্টের ৯ জন এ পর্যন্ত মারা গেছেন। তাদের মধ্যে সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীসহ ৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

বেসরকারি কন্টেইনার ডিপো এছাক ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাজি মোহাম্মদ ইউনূস গত ৩১ মে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যান।

আমদানি-রপ্তানি সচল রাখতে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যেও বন্দরের কার্যক্রম চালু রাখা হয়। তবে সাধারণ ছুটির শুরুর কিছুদিন পর চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কার্যক্রম সীমিত করে আনা হলেও পরের দিকে অবশ্য কার্যক্রমে পূনরায় গতি আনে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

সাধারণ ছুটির মধ্যেও বন্দরের কার্যক্রম চালু রাখায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তারের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন অনেকে।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন