দীর্ঘ ২ মাসেরও বেশি সময় পরে খুলে দেয়া হয়েছে অফিস, দোকান-পাট, শপিং মল। সোমবার (১ জুন) থেকে সারাদেশে চালু হয়েছে গণপরিবহন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির শর্তে চালু করা হয়েছে বাস। তবে অধিকাংশ বাসেই মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি, নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা জীবাণুনাশক স্প্রের ব্যবস্থাও।
সোমবার রাজধানীর শ্যামলী, কল্যাণপুর ও কলেজগেট এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, আগের মতই যত্রতত্র যাত্রী উঠানো ও নামানো হচ্ছে। পরিবহনগুলোতে নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা জীবানুনাশক স্প্রে’র ব্যবস্থা। হেলপার কিংবা কনডাক্টর যাত্রীদের টেনে বাসে তুলছেন।নেই সামাজিক দূরত্বের কোন বালাই।
শিশু মেলা ও কলেজ গেট এলাকায় দেখা যায়, সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, মিরপুর, উত্তরা, টঙ্গী, আব্দুল্লাহপুর থেকে ছেড়ে আসা বাস রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে। পরিবহনগুলোতে যাত্রীর সংখ্যা কম ছিল মানা হয়েছে দুই সিটে একজন করে যাত্রী বসার নিয়মও। তবে যাত্রী ওঠানোর জন্য যত্রতত্র দাঁড়াতে দেখা গেছে অধিকাংশ বাসকে। যাত্রী ওঠা-নামার ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি।
ভূইয়া পরিবহনের একটি বাসের হেলপার শরিফ বলেন, বাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার আছে, যাত্রীরা চাইলে তা প্রয়োগ করা হচ্ছে। ট্রান্স সিলভার গাড়িতে দেখা যায়নি জীবানুনাশক স্প্রে। আলিফ পরিবহনেও একই অবস্থা। অগ্রদূত বাসের হেলপার সোহাগ জানান, বাসের ভেতরে যাত্রী নিয়ম মতো বসছে। সেখানে বসার পর স্প্রে করা হচ্ছে।
মিজানুর রহমান নামের এক যাত্রী জানান, অনেকক্ষণ অপেক্ষার একটি বাস পেলাম। নিয়ম মানার বিষয়টি মাথায় কাজ করলেও তাড়া থাকায় ও বাস ছুটে চলায় উঠতে হয় বাধ্য হয়ে।
সবুজ নামের এক যাত্রী বলেন, ভয়ে উঠতে মন চায় না। কিন্তু নিজস্ব পরিবহন নেই যেতে হবে দূরের পথ, হাঁটার অবস্থাও নেই গরমে। বাসগুলো যদি নিয়ম মেনে ধীরে সুস্থে যাত্রী উঠানামা করতো একটু চলাচল করে স্বস্তি পেতাম।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস