ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম

ঝিনাইদহে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। কয়েক দিনের ব্যবধানে একই উপজেলার অন্যহাটে মণপ্রতি দাম কমেছে দেড়’শ থেকে ২ শ’ টাকা। লকডাউন শিথিল হওয়ায় আমদানি বৃদ্ধি ও ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার ঘোষণায় দাম কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

শৈলকুপা উপজেলার লক্ষণদিয়া গ্রামের প্রান্তিক চাষি শুকুর আলী মোল্যা জানান, গত কয়েক বছর পেঁয়াজ আবাদে লোকসান হলেও এবার প্রথম কিছুটা লাভের মুখ দেখেছেন তিনি। করোনার কারণে মাঠ থেকে পেঁয়াজ ওঠানো আর বিপণনে সমস্যা হলেও দাম ভালো পেয়েছিলেন। লকডাউন শিথিল হওয়া আর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণায় হঠাৎ করেই কমে যায় পেঁয়াজের দাম। লাভের স্বপ্ন দেখে এখন লোকসানের আশঙ্কায় দিন কাটছে তার।

এলাকার কয়েকজন কৃষক জানান, গত দেড় মাস ধরে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় এবার ন্যায্য দাম পেয়েছেন তারা। এপ্রিলের শুরু থেকে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত যা দাম পেয়েছে তাতে খুশি কৃষক। এখন ভারত থেকে এলসির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি করা হলে প্রতি বছরের মতো এবারও কপাল পুড়বে কৃষকের। বিগত কিছুদিন ধরে পেয়াঁজের দাম নিম্নমুখী হয়ে অসছে।

ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস জানান, এ বছর কৃষকরা ভালো দাম পাওয়ায় তারা আগামীতে পেঁয়াজ উৎপাদনে উৎসাহিত হবে বলে আমরা মনে করি। আমদানির ফলে যদি দাম অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়। সে ক্ষেত্রে আমদানিতে পেঁয়াজের উৎপাদন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।

কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, এ বছর জেলার ৬ উপজেলায় ৮ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। আর পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ২৭৬ মেট্রিক টন।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস/বি ইউ

সংবাদটি শেয়ার করুন