ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে বরগুনা জেলার ১৩ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে ভেসে গেছে শতাধিক মাছের ঘের, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্রায় ১০ হাজার বাড়িঘর। পানিতে তলিয়ে গেছে তিনশো হেক্টর জমির ফসল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৫টি পয়েন্টে ১৩ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ।
তাই বরগুনা এলাকাবাসী দ্রুত স্থায়ী সুরক্ষিত বাঁধ নির্মাণ করে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে ১০ থেকে ১১ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ ভেঙে পানিতে ভাসছে নলটোনা, নিশানবাড়িয়া, গোলবুনিয়া, আয়লাপাতাকাটা ও পাথরঘাটার কাকচিড়া কালমেঘাসহ বিভিন্ন এলাকা।
এই ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, এরইমধ্যেই ক্ষয়-ক্ষতির হিসেব দিয়ে তথ্য জানিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে। অতি দ্রুত বাঁধ নির্মাণের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, জেলার ৯৫৫ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে ৩৭ কিলোমিটার এখন ঝুঁকিপূর্ণ। এর আগে, সিডর আইলা মহাসেন এবং সবশেষ বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো ৪৫ কিলোমিটার বাঁধ।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে