বেশ কিছুদিন যাবতই পুরো বেতন-বোনাস ও বকেয়া মজুরি পরিশোধের দাবিতে বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা আন্দোলন করছেন। ইতোমধ্যে আন্দোলনের সময় অনেক কারখানায় ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। এবং সেই সাথে দুটি কারখানার মালিক লাঞ্ছিত হয়েছেন।
এই পরিস্থিতি একই রকম থাকলে অনির্দিষ্টকালের জন্যকারখানা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না বলে জানিয়েছেন পোশাকশিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।
গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ডিবিএল, ওপেক্স, মেডলার, ইমপ্রেস, ভিশন, ডিজাইনটেক্স, সেনটেক্স, সিভিক অ্যাপারেলস, ফকির নিটওয়্যারসহ কয়েকটি কারখানা ভাংচুর করেছে শ্রমিকরা।
এই ব্যাপারে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সভাপতি জানান, ছোট এবং মাঝারি কারখানার পাশাপাশি উন্নত ও ভালো কর্মপরিবেশ আছে এবং বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ করা হয়, এ রকম বড় বড় কমপ্লায়েন্ট কারখানায়ও আন্দোলনের নামে ভাঙচুর হচ্ছে।
এ পরিস্থিতি চলমান থাকলে উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ বাধাগ্রস্থ হবে। অস্থির পরিস্থিতি এবং ভাঙচুরের কারণে কারখানা বা ব্যবসা বন্ধ হলে মালিক-শ্রমিক দু পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এতে সার্বিকভাবে অর্থনীতি অনেক পিছিয়ে যাবে এবং সেই সাথে সামাজিক ভারসাম্যও নষ্ট হবে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে