ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’র প্রভাবে সমুদ্রতীরে অবস্থিত খুলনার কয়রা ও দাকোপ উপজেলার নদ-নদীগুলোর পানি ফুলেফেঁপে উঠেছে। বিভিন্ন স্থানে বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়ে বেড়িবাঁধের ভঙ্গুর অবস্থা নিয়েই বেশি দুশ্চিন্তায় আছে মানুষেরা। প্রায় সব উপজেলাতেই স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধ টিকিয়ে রাখার কাজ করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে রাতে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে গেলেও সকালেই অনেকে বাড়ি ফিরে গেছিলো। বুধবার দুপুরের পর থেকে ফের আশ্রয়কেন্দ্রমুখি হয় মানুষ। এ পর্যন্ত খুলনায় ১ লাখ ২৬ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। খুলনার কয়রা ও দাকোপ উপজেলার আশ্রয় নেওয়া মানুষদের জন্য ১০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সেখানকার জেলা প্রশাসন।
জানা যায়, বুধবার বেলা ১২টার পর থেকেই দাকোপ উপজেলার ৩১ নম্বর পোল্ডারের খলিশা, পানখালী, কাকরাবুনিয়া, কামিনিবাসিয়া, বটবুনিয়া গ্রামের বেড়িবাঁধ উপচে গ্রামের ভেতরে পানি ঢুকতে শুরু করে। দুপুর ১টা নাগাদ নদীতে ভাটা শুরু হলেও পানি কমার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ওই জনপদে।
দাকোপের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল ওয়াদুদ বলেন, দাকোপে স্কুল ও মাদ্রাসাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। মোট ১৭২টি আশ্রয়কেন্দ্রে দুপুর পর্যন্ত ৫১ হাজার মানুষ আশ্রয় গ্রহন করেছে।
গ্রামবাসীরা জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের খবর জানার পর থেকে তাদের এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ উচুকরণের চেষ্টা করছেন তারা। মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সকাল থেকে নারী পুরুষ সবাই মিলে ঝুড়ি কোদাল নিয়ে কাজে নেমে পড়েছেন।
আনন্দবাজার/তা.তা