রাজশাহীতে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া রাজশাহী শহরে ঘোরাফেরা করলেই জরিমানা করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (২০ মে) থেকে প্রশাসন এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে পড়ে যারা ঈদের কেনাকাটা কিংবা খুব প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোনো কারণ দেখাচ্ছেন তাদের জরিমানা গুণতেই হচ্ছে। জরিমানা করা হচ্ছে মাস্ক না পরার কারণেও। ২০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হচ্ছে। এমন কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে শহর ফাকা রাখার প্রচেষ্টা চলছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার(১৯শে মে) অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হলে দাঁড় করিয়ে রেখে শাস্তি দেয়া হয়। কিন্তু পরদিন বৈরি আবহাওয়া থাকা স্বত্বেও মানুষ শহরে বের হন। ফলে বাধ্য হয়ে জরিমানার মতো দন্ড দিতে শুরু করে প্রশাসন।
এছাড়া শহরে যেন কোনো মার্কেট না খোলে সেটিও নিশ্চিত করা হচ্ছে। নগরীর আরডিএ মার্কেটে দোকান খোলার অপরাধে বুধবাররে এক ব্যবসায়ীকে ছয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আগের দিন মঙ্গলবারও এই মার্কেটের এক ব্যবসায়ীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে আগেই সারাদেশের মার্কেট-দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু গত ১০ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত আসে। এরপর সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ব্যবসা করছিলেন রাজশাহীর দোকানীরা। এ অবস্থায় গত সোমবার(১৮ই মে) বিকেলে জেলা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় ওষুধ, জরুরি সেবা, খাবার ও কাঁচাবাজার ছাড়া রাজশাহীর সব দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত রাজশাহী মহানগর ছাড়াও সকল উপজেলার জন্য প্রযোজ্য। এই সিদ্ধান্ত কার্যকরে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
আনন্দবাজার/শাহী