ঈদের সময় এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াতের ওপর নিষেধা’জ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু এই আদেশ উপেক্ষা করেই এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াত করছেন অনেকেই। বাস-ট্রেন না চললেও, অনেক মানুষই ঢাকা থেকে অন্য জেলায় যাচ্ছেন বিভিন্নভাবে যানবাহন জোগাড় করে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি অনুরোদ করেছেন, এ অবস্থায় করোনা ভাইরাস রোধ করতে আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে ১০ দিন কারফিউ জারি করার।
সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে গত কয়েকদিন সড়ক-মহাসড়ক ও ফেরিঘাটগুলোতে ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এতে করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেশব্যাপী ভয়াবহভাবে বিস্তার ঘটাবে।
বিবৃতিতে তিনি আরও জানান, প্রিয়জনের সাথে গ্রামের বাড়িতে ঈদের ছুটি কাটাতে প্রতিবছর ঈদুল ফিতরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রধান প্রধান শহর থেকে সাড়ে ৩ কোটির বেশি মানুষ গ্রামের বাড়ি যাতায়াত করে। দীর্ঘদিন ধরে এটি চলমান থাকায় বর্তমানে তা ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়ানোর কারণে এইবারের লকডাউনেও ঈদের ছুটি কাটাতে শহরের লোকজন গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে। এতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিবে।
আনন্দবাজার/এস.কে