শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলছে আড়ং, বাটা ও এপেক্স

করোনা ভাইরাস রোধে দেশের বড় দুটি শপিংমল বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স ও যমুনা ফিউচার পার্ক বন্ধ থাকলেও ১০ মে থেকে সীমিত আকারে খুলছে আড়ং, বাটা ও এপেক্স এর শোরুম। তবে  স্বাস্থ্যবিধি মানার নিশ্চিয়তা দিয়েই খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসব প্রতিষ্ঠান।

সরকারের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘আড়ং’ সারাদেশে থাকা ২১টি আউটলেটের মধ্যে ১৭টি আউটলেট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ বিষয়ে আড়ংয়ের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানান, আউটলেট খোলার ক্ষেত্রে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছি গ্রাহক ও বিক্রয়কর্মীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়টি। গ্রাহকদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রথমত দূরত্ব মানার বিষয়টি নিশ্চিত করছি, তারপর কেনাবেচা।

এ বিষয়ে বাটা কোম্পানির ম্যানেজার জোবায়ের ইসলাম জানান, যেসব স্টোর খোলা থাকবে, সেগুলোতে পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে। এ জন্য আমরা পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করেছি। ক্রেতারা জীবানুমুক্ত হয়ে স্টোরে আসার অনুমতি পাবেন। এছাড়া ক্রেতারা যাতে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করতে পারেন সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাংলাদেশের জুতা তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান এপেক্সও সীমিত আকারে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ বিষয়ে এপেক্সের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার জোহেব ইসলাম বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে ৯০ থেকে ১০০টির মতো আউটলেট খোলা থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে যে গাইডলাইন দেওয়া আছে, তার পুরোটাই মেনে খোলা হবে। হ্যান্ড স্যানেটাইজার থাকবে ক্রেতাদের জন্য ও বিক্রয়কর্মীদের জন্য থাকবে হ্যান্ড গ্লাভস। ক্রেতাদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।

আরও পড়ুনঃ  চেহারা খুলে ছবি তুলার পরিবর্তে বায়োমেট্রিক নিয়মের দাবি

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে যারা মার্কেট বা দোকান খোলা রাখতে পারবেন, তারা খোলা রাখবেন। যারা পারবেন না, তারা বন্ধ রাখলেও সমস্যা নেই। তবে  যেসব মালিক দোকান বন্ধ রাখবেন তারা তাদের কর্মচারীদেরকে যেটুকু পারবেন বেতন দিয়ে দেবেন।

আনন্দবাজার/রনি

সংবাদটি শেয়ার করুন