করোনার মতো মহামারির সময় সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচারে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার। বৃহস্পতিবার (৭ মে) সকালে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে অনলাইন ট্রেনিং কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএইউর উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা’র (ইউএসএআইডি) মিশন ডিরেক্টর ডেরিক ব্রাউন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের কমিউনিকেবল ডিজিস কন্ট্রোল ইউনিটের পরিচালক ডা. শাহনিলা ফেরদৌসী, বিএসএমএইউর চিকিৎসক ডা. রুমানা বিনতে রেজা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধিরা।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, যত বেশি সঠিক তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছবে তত বেশি মানুষ সচেতন হবে। সাংবাদিক, ফটো সাংবাদিক এবং মিডিয়া প্রতিষ্ঠান গুলোর কাজ পালন করার সময় অনেক সময় ত্যাগ স্বীকারের ব্যাপার থাকে, যেমনটি বাংলাদেশেও ঘটে। আমরা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া সাংবাদিক এবং জনসেবার ক্ষেত্রে তাদের নিঃস্বার্থ আত্মনিবেদনকে সম্মান জানাই।
তিনি বলেন, জনসাধারণকে কোভিড-১৯ মহামারি সম্পর্কে অবহিত করার জন্য যে সাংবাদিকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন, অনেক সময়ই চাপ এবং বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে তাদের। আমরা তাদের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জানাই।
তিনি আরো বলেন, রমজানে আমাদের এই সংকট মোকাবেলায় নিয়োজিত সামনের কাতারের কর্মীদের সম্পর্কে ভাবা এবং তাদের ধন্যবাদ জানানোর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবাকর্মী, পুলিশ, মুদি, ওষুধের দোকান এবং অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস