অবশেষে ইরাকে গঠিত হয়েছে নতুন সরকার। বুধবার ইরাকের পার্লামেন্ট নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোস্তফা আল কাজেমিকে নিয়োগ দেয়। এর মধ্যে দিয়ে দেশটির দীর্ঘ ছয় মাসের অচলাবস্থার অবসান ঘটেছে।
ইরাকে গণবিক্ষোভের মুখে গত বছরের ৩০ নভেম্বর পদত্যাগ করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় দুই মেয়াদে দেশটির যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মোহাম্মদ তৌফিক আলাউয়িকে। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়ায় ১৭ মার্চ নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় আদনান আল-জুরফিকে। মন্ত্রিসভা গঠন করতে ব্যর্থ হন তিনি।
এরপর গত ৯ এপ্রিল মন্ত্রিসভা গঠনের দায়িত্ব দেয়া হয় মোস্তফা আল কাজেমিকে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর তিনি সংসদে মন্ত্রীদের তালিকা পেশ করেন। আইনপ্রণেতাদের ভোটে স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, অর্থ এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রার্থী নির্বাচনে সক্ষম হয়েছেন তিনি। তবে তেল, পররাষ্ট্র, আইন, কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য তার মনোনীত প্রার্থীরা আইনপ্রণেতাদের সমর্থন পায়নি। যেকারণে আপাতত পূর্ণ মন্ত্রিসভা ছড়াই সরকার গঠন করতে হচ্ছে কাদিমিকে।
শপথ নিয়ে নতুন প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল কাজেমি বলেছেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলা এবং বিক্ষোভের সুরাহা করাই নতুন সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।
কাজেমি একসময় দেশটির গোয়েন্দা প্রধান ছিলেন। পেশাজীবনের শুরুতে সাংবাদিকতা করতেন তিনি। আল জাজিরা, গার্ডিয়ান।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস
