করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশ জুড়েই চলছে অঘোষিত লকডাউন। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেও কমেনি ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলের পরিমাণ। নানা অজুহাত দেখিয়ে মানুষ যত্রতত্র চলাফেরা করছে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর মতিঝিল, শাহবাগ ও ধানমন্ডি, বিজয় সরণি, তেজগাঁও, মিরপুর, শ্যাওড়াপাড়া এলাকাগুলোতে মূল সড়কে জরুরি সেবার গাড়ি ছাড়াও অসংখ্য ব্যক্তিগত গাড়ি দেখা গেছে। এমনকি কোথাও কোথাও অতিরিক্ত গাড়ির কারণে জটলাও দেখা গেছে।
জরুরি প্রয়োজনের বিভিন্ন অজুহাতে ব্যক্তিগত গাড়ি নামানো হচ্ছে রাস্তায়। কেউ বাজারে যাওয়ার কথা বলে কেউ আবার ওষুধ কেনার কথা বলে বের করছেন ব্যক্তিগত গাড়ি। প্রয়োজনের অজুহাত দেখিয়ে কেউ যাচ্ছেন ফাঁকা শহর ঘুরে বেড়াতে।
২৬ মার্চ থেকে রাজধানীতে লকডাউন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন সারওয়ার আলম। তিনি বলেন, রাস্তায় বের হওয়ার জন্য মানুষ নানা কৌশল ব্যবহার করছে। কেউ গাড়ির সামনে জরুরি ওষুধ সরবরাহের ব্যানার লাগিয়ে বের হচ্ছে, কেউ পকেটে প্রেসক্রিপশন নিয়ে বের হচ্ছে। আমরা যখন আটকিয়ে জিজ্ঞেস করছি, বলছে ওষুধ কিনতে যাচ্ছি।
সারওয়ার আলম আরও বলেন, লকডাউন ভেঙে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রাইভেট কার নিয়ে একজন ঢাকায় চলে এসেছিলেন। যেতে চাচ্ছিলেন গাবতলী। আমরা তাকে আটকাই চানখারপুল এলাকায়। গাড়িটিতে জরুরি ওষুধ সরবরাহ লেখা ব্যানার লাগানো ছিল। তবে ওষুধ সংশ্লিষ্ট কোনও কাগজ তিনি দেখাতে পারেননি। আমরা তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও গাড়িটি এক মাসের জন্য জব্দ করেছি।
ডিএমপি ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের সহকারী কমিশনার (তেজগাঁও) কাজী মিজানুর রহমান বলেন, আমরা প্রধান সড়কে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করছি। কিছু মানবিক বিষয় থাকে, সেটাও দেখতে হয়। কেউ হাসপাতালে যাওয়ার কথা বলছেন। ওষুধ কেনার কথা বলছেন। আমাদের কাছে সন্দেহজনক মনে হলে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস