প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপে ধস নেমেছে ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রফতানিতে। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসার তথ্য-উপাত্ত নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইন্দোনেশিয়ান পাম অয়েল প্রডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশন। প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর জের ধরে চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে ইন্দোনেশিয়া থেকে পাম অয়েল রফতানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় এক-পঞ্চমাংশ কমে গেছে।
নভেল করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছরের প্রথম থেকেই আমদানি-রফতানি কার্যক্রম কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছিল চীনের। প্রধান ক্রেতা চীনের এই অবস্থা ভাবিয়ে তুলেছিল ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রফতানিকারকদের। এ পরিস্থিতিতে পাম অয়েলের রফতানি কমে যাওয়ার আশঙ্কা করেছিল ইন্দোনেশিয়ার রফতানিকারকেরা। অবশেষে তাদের ধারণাই সত্যি হলো।
ইন্দোনেশিয়ান পাম অয়েল প্রডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৪৯ লাখ ৩০ হাজার টন পাম অয়েল রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ শতাংশ বা প্রায় এক-পঞ্চমাংশ কম। ২০১৯ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়ার রফতানিকারকরা আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৬১ লাখ ৩০ হাজার টন পাম অয়েল রফতানি করেছিলেন। সেই হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে দেশটি থেকে পণ্যটির রফতানি কমেছে ১২ লাখ টন।
মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর প্রবৃদ্ধির ধারায় ছিল ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রফতানি খাত। ২০১৯ সালে দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ২ কোটি ৯১ লাখ টন পাম অয়েল রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেশি।
২০১৮ সালে ইন্দোনেশীয় রফতানিকারকরা সব মিলিয়ে ২ কোটি ৮২ লাখ ৭৯ হাজার টন পাম অয়েল রফতানি করেছিলেন। সেই হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে দেশটি থেকে পণ্যটির রফতানি বেড়েছে ৮ লাখ ৩১ হাজার টন। সর্বশেষ ২০১৭ সালে ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রফতানিতে মন্দা ভাব দেখা গেছে। ওই বছর দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে পাম অয়েল রফতানি ২ দশমিক ৪১ শতাংশ কমে ২ কোটি ৬৯ লাখ ৬৭ হাজার টনে নেমে এসেছিল।
আনন্দবাজার/ টি এস পি