ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেড়েই চলছে নিত্যপণ্যের দাম

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর গত দেড় মাসে চাল, ডাল, তেল, চিনি, দুধ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, মরিচ, হলুদ থেকে শুরু করে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। কোনো কোনো পণ্যের দাম ২-৩ গুণও বেড়েছে।

করোনাভাইরাসকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা একের পর এক পণ্যের দাম বাড়িয়ে চলছে। এসব ব্যবসায়ী মানবতার দিকে না তাকিয়ে শুধু মুনাফা বাড়ানোর পাঁয়তারা করে যাচ্ছেন।

দেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পরদিনই বেড়ে যায় চালের দাম। চিকন চাল ৫২ টাকা থেকে ৬০ টাকা। যা পর্যায়ক্রমে বেড়ে বর্তমানে ৬৮ টাকা । দাম বাড়ার এ তালিকায় রয়েছে মোটা চালও।  ৩২ টাকা থেকে দাম বেড়ে এখন ৫০ টাকা।

করোনার প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। করোনার আগে পাম অয়েলের দাম ৭০ টাকা এখন বেড়ে ৮০ টাকা । সুপার পাম অয়েলের দাম ৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ৮৫ টাকা।

করোনার আগে ৮৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া লুজ সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে এখন ১০০ টাকায় পৌঁছেছে। এক লিটারের বোতল ১০০ থেকে ১১০ টাকা এবং ৫ লিটারের বোতল ৪৬০ থেকে বেড়ে ৫২০ টাকা হয়েছে।

করোনার প্রকোপের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে মসুর, মুগ, অ্যাংকর ডাল ও ছোলার দাম। বড় দানার মসুর ডালের কেজি বেড়ে ১০০ টাকা হয়েছে, যা করোনার আগে ছিল ৭০ টাকার নিচে। ৮০ টাকার মাঝারি দানার মসুর ডালের কেজি বেড়ে হয়েছে ১১০ টাকা। ছোট দানার মসুর ডালের কেজি পৌঁছেছে ১৪০ টাকায়, যা করোনার আগে ছিল ১১০ টাকা।

এদিকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মুগ ডালের দাম বেড়ে  ১৪০ টাকা। অ্যাংকরের দাম বেড়ে ৫০ টাকা, যা করোনার আগে ছিল ৩৫ টাকা। ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ছোলার দাম বেড়ে হয়েছে ৮৫ টাকা। ১৮ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া গোল আলু ২৮ টাকা হয়েছে। ৬২ টাকার খোলা চিনির কেজি ৭৫ টাকা হয়েছে।

গরম মসলার বাজার

করোনার আগে ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের কেজি এখন ৬০ টাকা। ৬০ টাকার দেশি রসুনের দাম বেড়ে ১৪০ টাকা। যে আমদানি করা রসুন করোনার আগে ১০০ টাকা ছিল তা বর্তমানে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১৬০ টাকার শুকনা মরিচের দাম বেড়ে ৩৫০ টাকা । ১২০ টাকার হলুদের দাম বেড়ে ২০০ টাকা হয়েছে। ১০০ টাকা থেকে আদার কেজি ৩৫০ টাকায় পৌঁছেছে।

মাংসেও করোনার আঘাত

আগের সকল রেকর্ড ভেঙে ৬০০ টাকা কেজিতে পৌঁছেছে গরুর মাংসের দাম। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ টাকা । করোনার আগে গরুর মাংস ছিল ৪৬০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮৫০ টাকার মধ্যে । গরু ও খাসির সঙ্গে দাম বেড়েছে মুরগির। করোনার আগে ১২০ টাকার মধ্যে বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগির কেজি এখন ১৩০ টাকা। আর ৪০০ টাকার দেশি মুরগির কেজি হয়েছে ৫০০ টাকা।

রক্ষা পায়নি দুধও

করোনার আগে ৫৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ডানো দুধের দাম বেড়ে ৬৩০ টাকা। ৫৯০ টাকার ডিপ্লোমা হয়েছে ৬২০ টাকা। ৪৮০ টাকার ফ্রেশের দাম বেড়ে হয়েছে ৫৫০ টাকা। মার্কস দুধের কেজি হয়েছে ৫৬০ টাকা, যা করোনার আগে ছিল ৫৪০ টাকা।

আনন্দবাজার/এফআইবি

সংবাদটি শেয়ার করুন