বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে কঠোর অবস্থান

নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিজিএমইএ। সংস্কার কাজে অবহেলার দায়ে সম্প্রতি ৫১টি কারখানার বন্ড সংক্রান্ত সুবিধা ‘ইউ.ডি’ বন্ধ করে দিয়েছে সংগঠনটি। এমন উদ্যোগের প্রশংসা করে অর্থনীতিবিদদরা বলছেন, সুনির্দিষ্ট কর্ম পরিকল্পনার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিলে বির্তকমুক্ত থাকবে সব কড়া সিদ্ধান্ত। এদিকে, কর্মপরিবেশ ইস্যুতে আরও কঠোর হতে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেফটি ইউনিট’ করার উদ্যোগে নিয়েছে কল কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।

বদলে যেতে থাকা দেশের তৈরি পোশাক খাতে গেল ৬ বছরে ঘটেনি বড় কোন দুর্ঘটনা। নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিতে চলমান উদ্যোগের সন্তুষ্টিও জানিয়েছে বিদেশি ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স।

এরপরও সংস্কার কাজে তেমন অগ্রগতি না থাকায় গেল বছরের সেপ্টেম্বরে পোশাক খাতের ২১৫টি কারখানার ইউ.ডি সুবিধা বাতিলের সুপারিশ করে কল কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। অভিযুক্ত কারখানার মধ্যে ১৩১টি বিজিএমইএ’র, ৭৩টি বিকেএমইএ’র ও ১১টি উভয় সংগঠনের সদস্য।

এরপর দীর্ঘ সময় কারখানাগুলোর সংস্কার কাজের অগ্রগতি কয়েক দফা পর্যালোচনা করে বিজিএমইএ, সম্প্রতি তাদের সদস্যভুক্ত ৫১টি কারখানার ইউ.ডি ৬ মাসের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। এতে কার্যত বন্ধ থাকবে সে সব কারখানার রপ্তানি কার্যক্রম। কঠোরতা ও সহযোগিতা এই নীতিতে পথ চলতে চায় সংগঠনটি।

বিজিএমইএ’র সভাপতি ড রুবানা হক বলেন, ‘তাদের কাজের অগ্রগতি একেবারেই নাই। শতকরা ১০ ভাগ থকে ২০ ভাগ। ৬ বছর হয়েছে তবুও যদি ১০ আর ২০ ভাগ হয় তাহলে তো সমস্যা আছে। আমরা যে লড়বো বিদেশিদের সঙ্গে তার জন্যে নিজেদের শক্ত হতে হবে। কতদিন ধরে বিদেশিরা পরামর্শ দেবে আর সেটা আমরা মানবো। সেটা একসময় না একসময় শেষ হতে হবে।’

আরও পড়ুনঃ  তিস্তার পেটে বসতভিটা

অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ, কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করতে দরকার একটি বির্তকমুক্ত কর্ম পরিকল্পনা। অর্থনীতিবিদ ড খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানায়। যেতি পরিস্কার হওয়া দরকার কোন কোন কারখানার বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত হবে তা এসওপি’র মাধ্যমে হওয়া উচিত।’

সংবাদটি শেয়ার করুন