মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধি
স্বাধীনতা যুদ্ধের পরেও এতো অভাবে ভোগেননি পানের বরের শ্রমিক নন্দলাল দাশ (৬৫)। সকলের দৃষ্টির অগোচরে থাকা এই ব্যক্তি একমুষ্টি ত্রাণসামগ্রী পাননি বলে জানান। প্রশ্ন জাগে ত্রাণের সয়লাব মেহেন্দিগঞ্জের এত ত্রাণ তাহলে কাদের ভাগ্যে জুটলো।
করোনায় কর্মহীন হয়ে অভাব অনটনে পড়ে শিলা বৃষ্টিতে ঝড়ে পড়া অন্যের বাগানের আম কুড়িয়ে বিক্রির উদ্দেশে পাতারহাট বাজারে নিয়ে আসেন নন্দলাল। দুর্ভাগা ব্যক্তিটি ২ দিনে একটি আমও বিক্রি করতে পারেননি। মেহেন্দিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রুকন্দি ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দলাল দাশের ২ সন্তানসহ ৩ সদস্য বিশিষ্ট পরিবারে নেমে এসেছে অন্ধকার আর হতাশা। অভাবের দায়ে ২ সন্তানকে মামার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আমে শিলের দাগ থাকায় একটি আমও কেউ কিনেননি।
নন্দলাল জানান, তাঁর স্থানীয় বাড়ি ছিলো গোবিন্দপুর ইউনিয়নে। প্রায় ২০ বছর আগে নদী ভাঙ্গার কারণে ঠাঁই মিলে লালমিয়ারহাট বাজারের লক্ষী ডাক্তারের ফার্মেসির পিছনে ছোট একটি ছাউনিতে।
নন্দলাল এখনও গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ভোটার। তিনি ত্রাণের জন্য চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন তালুকদারের কাছে একাধিকবার ধর্না ধরলেও ত্রাণ পাননি বলে জানান।