শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লকডাউন থাকলেও মানছে না পিরোজপুরের জনসাধারণ

বিশ্বব্যাপী মহামারি সৃষ্টি করেছে করোনাভাইরাস। তবুও সরকারের নির্দেশনা মেনে ঘরে থাকছে না মানুষ। পিরোজপুরে এখন পর্যন্ত করোনার রোগী সনাক্ত হয়েছে ৫ জন।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিদিনই করা হচ্ছে সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারণা। গত ১৬ এপিল রাতে পিরোজপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত সব ধরনের জনসমাগমের উপর জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করার জন্য সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিলেও বাস্তবে দেখা যায় তার উল্টো চিত্র।

ওষুধের দোকান বাদে অন্যান্য সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। দোকানদার তাদের দোকানের কিছু অংশ খোলা রেখে বেচাকেনা করে চলছেন। প্রশাসন ও পুলিশের লোকজন এলে দ্রুত তখন দোকান বন্ধ করছেন। তারা চলে গেলে আবার দোকান শুরু হয় বেচাকেনা। এ নিয়ে চলছে ব্যবসায়ীদের চোর-পুলিশ খেলা।

পিরোজপুরের হাট বাজারগুলোতে প্রতিদিনই লোকজনের সমাগম এবং যানবাহন চলাচল বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনাকে কোন রকম পাত্তা না দিয়েই জেলা ও উপজেলা শহরের বাজার, গ্রাম-গঞ্জের হাটবাজারগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এখনো নৌপথ ব্যবহার করে পিরোজপুরে ঢুকছে ঢাকাসহ নারায়নগঞ্জ থেকে আসা মানুষজন।

এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বশির আহম্মেদ জানান, সামাজিক দুরত্ব ও লকডাউন মেনে চলার জন্য সচেতনতা সৃষ্টিতে প্রশাসন কাজ করছে। প্রতিদিনই নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে। রমজানের কেনাকাটার জন্য বাজারগুলোতে আরও লোকসমাগম বেড়েছে।

আরও পড়ুনঃ  জলঢাকা উপজেলায় অনুমোদন ছাড়াই চলছে ৪৫ টি স'মিল

এদিকে, ১লা রোজা থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজারের সকল মুদি দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। রোজা শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়ে যাবে দাবি প্রশাসনের।

উল্লেখ্য, পিরোজপুরে লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।

সংবাদটি শেয়ার করুন