শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শৈলকুপায় ত্রাণ না পাওয়ায় ভূমিহীনদের বিক্ষোভ

দেশজুড়ে মহামারী আকারে রূপ ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। চলছে অঘোষিত লকডাউন। আর এমন সময়ে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কর্মহীন ও আশ্রয়হীন ঘরবন্দি মানুষের অভাব অনটন দিনদিন বেড়েই চলেছে। সরকার প্রতিনিয়ত দরিদ্রদের মুখে খাবার তুলে দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। অথচ ভূমিহীনরা এখন পর্যন্ত সরকারী বরাদ্দের কোনো ছিটেফোটাও না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে।

আজ বুধবার (২২এপ্রিল) সকাল ১০টায় শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে প্রায় ১ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচী পালন করে শৈলকুপার পৌর এলাকার ৯নং ওয়ার্ডের ঝাউদিয়া আবাসন প্রকল্পে বসবাস করা ৩ শতাধিক ভূমিহীন পরিবার।

এদিকে, বিক্ষুব্ধ ভূমিহীন পরিবারগুলোর দাবী এখন পর্যন্ত তারা সরকারী কোনো ত্রাণ পাননি। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারী নির্দেশনা মেনে কাজ কর্ম বন্ধ করে তারা ঘরে বসে আছে। পৌর মেয়রের কাছে বারবার গেলেও তাদেরকে কোন ত্রাণ দেওয়া হয়নি। তাই ত্রাণ না পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচী অব্যাহত রাখার শ্লোগান দেয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের আশ্বাসে তারা অবস্থান কর্মসূচী তুলে নেয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, পৌরসভায় ইতোমধ্যে ৯ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পৌর এলাকার ঝাউদিয়া আবাসন প্রকল্পের লোকজন বুধবার সকালে তার অফিসে এসে ত্রাণের দাবী জানালে পৌরসভায় নতুন করে আরো ৫টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন মোট ১৪টন বরাদ্দ দেয়া হলো। নতুন বরাদ্দের ৫টন চাল খুব শীঘ্রই পৌরসভায় পৌছে যাবে।

আরও পড়ুনঃ  বরগুনায় অস্ত্রসহ জলদস্যু আটক

ঘটনার পর শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আজম বলেন, তিনি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে এযাবৎকাল ৪টন চাল পেয়েছেন। যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতি ক্রমেই বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, একমাত্র দুই ঈদে আবাসন প্রকল্পের জন্য ভিজিএফ এর চাল বরাদ্দ আসে। তাছাড়া আবাসন প্রকল্পের জন্য কোনো প্রকার বরাদ্দ এযাবৎকাল পৌরসভায় আসেনি। আবাসন প্রকল্পের সমস্ত বরাদ্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হাতে।

সচেতন মহলের উৎকণ্ঠা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পৌরসভায় ৯টন চাল বরাদ্দ দিলেন। অথচ পৌর মেয়র বলছেন ৪টন পেয়েছেন। তাহলে বাকী ৫টন চাল গেলো কোথায়। আর নতুন বরাদ্দের ৫টন চালই বা কোথায় যাবে? তা খতিয়ে দেখা হোক।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন