রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের কাছে ২৭ হাজার কোটি টাকা পাওনা এনবিআর

গত পাঁচ অর্থবছর থেকে বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও বকেয়া পরিশোধ করছে না—এমন ৭৯ ব্যক্তি ও ১২৪ প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে রাজস্ব পাওনা প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা। গত সপ্তাহে এ তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

ওই সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বকেয়ার পরিমাণ, বকেয়া পরিশোধে তাগাদা দিয়ে এনবিআর থেকে কতবার চিঠি পাঠানো হয়েছে, বকেয়া আদায়ে আরো কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে—এসব তথ্যও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এনবিআর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। এত দিন যারা বিভিন্ন কৌশলে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে, তাদের কাছ থেকে পাওনা আদায়ে এনবিআর কঠোর অবস্থান নিয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘অতীতে বড়মাপের অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পাওনার অতি সামান্য দিয়ে সময় নিয়েছে। পরবর্তী সময়ে দিচ্ছি বা দেব বলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্নভাবে সময় বাড়ানো হলেও এবারে সে সুযোগ দেওয়া হবে না।’

এনবিআরের রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে, ৭৯ ব্যক্তির কাছে এনবিআরের রাজস্ব পাওনা তিন হাজার ৭২২ কোটি টাকা। ১২৪ প্রতিষ্ঠানের কাছে এনবিআরের পাওনা ২৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এত দিন এনবিআরের বিভিন্ন কর অঞ্চল এবং কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেট এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যক্রম নজরদারি করেছে। চলতি অর্থবছর থেকে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্ট সেল (সিআইসি), ভ্যাট বা মূসক গোয়েন্দা এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর থেকেও ওই সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  কমেছে রফতানি আদেশ, নগদ সহায়তা চান পোশাক ব্যবসায়ীরা

সংবাদটি শেয়ার করুন