রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাম্বুটান ও কাজু বাদাম চাষীদের ঋণ দিবে ব্যাংক

বিদেশী রাম্বুটান ফল ও কাজু বাদামের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এই দুটি ফল চাষাবাদে ব্যবহার করা হয় পতিত বা পাহাড়ের ঢালু জমি। ফল দুটির চাষাবাদও মোটামুটি লাভজনক হওয়ায় এ খাতে কৃষি ঋণ বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব ফল উৎপাদনে একজন কৃষক ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন।

সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ও পল্লী ঋণ বিষয়ক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, ফল দুটির চাহিদা বাড়ছে। তাই এসব ফল চাষীদের ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রাম্বুটান চাষে কত টাকা ঋণ পাওয়া যাবে?

এটি একটি বিদেশি ফল। লাভজনক হিসেবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এ ফল। দেখতে অনেকটা লিচুর মতো। তবে আকার লিচুর চেয়ে বড়। প্রতি একরে রাম্বুটান চাষের জন্য ঋণ দেয়া হবে ৭৬ হাজার ১৫০ টাকা। এর মধ্যে মৌসুম ওয়ারি ফসল উৎপাদনে জমির ভাড়া ৬ হাজার, শ্রম বাবদ ১৪ হাজার, জমি তৈরি খরচ ৩ হাজার ২শ, কীটনাশক ৩ হাজার, মাচা বা খুঁটি তৈরি বাবদ ৫ হাজার, সেচে ৩ হাজার ২৫০, বীজ ২০ হাজার ও সুষম সার বাবদ ২১ হাজার ৭শ টাকা দেয়া হবে। তবে একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৫ একরের জন্য ৩ লাখ ৮০ হাজার ৭৫০ টাকা ঋণ নিতে পারবেন।

ট্রপিক্যাল ও সাব ট্রপিক্যাল আবহাওয়া বিশিষ্ট অঞ্চল রাম্বুটান চাষের জন্য উপযোগী। বাংলাদেশের দক্ষিণ ও পার্বত্য জেলাসহ বৃহত্তর ঢাকা-ময়মনসিংহ খুলনা ও যশোর জেলায় এ ফলের চাষ হয় বেশি। প্রায় সব ধরনের মাটিতে এ ফল চাষ করা যায়। তবে পানি, সেচ ও নিষ্কাশন সুবিধাযুক্ত উর্বর দোআঁশ মাটি এ ফল চাষে বেশি উপযোগী।

আরও পড়ুনঃ  ডেইরি আইকন পুরস্কার পেলেন ৪১ জন খামারি

কাজু বাদাম চাষে কত টাকা ঋণ পাওয়া যাবে?

কাজু বাদাম একটি উচ্চ মূল্য ফল। প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে কাজু বাদামের তেল উৎপাদন করা যায়। যা থেকে উন্নত মানের প্রসাধনী সামগ্রী তৈরি করা যায়। প্রতি একরে কাজু বাদাম চাষের জন্য ঋণ দেয়া হবে ৬৫ হাজার টাকা (প্রথম বছরে ৩৫ হাজার আর পরবর্তীকালে দুই বছরে ৩০ হাজার টাকা)। এর মধ্যে শ্রম বাবদ ১৫ হাজার, জমি তৈরি খরচ ৫ হাজার, কীটনাশক ৩শ, মাচা বা খুঁটি তৈরি বাবদ ১ হাজার ৫শ, সেচে ২ হাজার, বীজ ১ হাজার ২শ ও সুষম সার বাবদ ৬ হাজার টাকা দেয়া হবে। তবে একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৫ একরের জন্য ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঋণ নিতে পারবেন।

এটি পাহাড়ি এলাকার ঢালু অর্থাৎ উর্বর জমির বাণিজ্যিক ফসল। পুষ্টি গুণাগুণের বিবেচনায় এ বাদামকে সুপার ফুড বলা হয়। ইনসিটো পদ্ধতিতে কাজু বাদামের চাষ আবাদ পাহাড়ের ঢালের মাটি ক্ষয় রোধ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ কারণে পাহাড়ি টিলাযুক্ত অনুর্বর পতিত জমিতে এর চারা রোপণ করা যেতে পারে। যেখানে অন্যান্য ফলের বাগান তৈরি করা কষ্টসাধ্য ও সময় সাপেক্ষ। এ পদ্ধতিতে কাজু বাদামের চারা অতি দ্রুত বর্ধনশীল এবং বীজ বপনের দুই বছর থেকেই বাদাম পাওয়া সম্ভব।

সংবাদটি শেয়ার করুন