করোনাভাইরাসের কারণে বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় প্রতিমাসে লোকসান হচ্ছে ৪৫ কোটি টাকার। এর প্রভাবে এই খাতের অর্ধেকের বেশি কর্মী চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে আছেন। পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব এমিউজম্যান্ট পার্ক এন্ড এট্রাকশন (বাপা)।
বছরের শুরুতে এসব বিনোদনকেন্দ্রে জনসমাগম অনেক বেশি হয়। শিক্ষা সফর ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের মিলনমেলায় জমে উঠে এমিউজমেন্ট পার্কগুলো। এ কারণে এই সময়টাকে ভরা মৌসুম হিসেবে বিবেচনা করেন পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্রের মালিকরা।
করোনার প্রকোপে গত ২০ মার্চ থেকে ফ্যান্টাসি কিংডম, ফয়স লেক, ড্রিম হলিডে পার্ক ও শিশু মেলাসহ বন্ধ রয়েছে দেশের সরকারি ও বেসরকারি সকল বিনোদন কেন্দ্রই। এমন পরিস্থিতিতে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে আসন্ন দুই ঈদকে ঘিরেও।
এমন অবস্থা চলতে থাকলে কর্মীদের বেতনসহ প্রতিষ্ঠানের খরচ চালানো দুরুহ হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। তাই আগামী ৬ মাস সময়ের মধ্যে সরকারি প্রণোদনার পাশাপাশি চারটি সুনির্দিষ্ট দাবি জানিয়েছে এমিউজমেন্ট পার্কের এই সংগঠন।
এদিকে সুনির্দিষ্টভাবে সমস্যা তুলে ধরে আবেদন করলেই সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পর্যটন মন্ত্রণালয়।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস