শারীরিক প্রতিবন্ধী সিএনজি চালক আলী সেইসব মানুষদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে যাদের একমাত্র ঠিকানা রাস্তা, যারা নিজেদের পেটের ক্ষুদার কথা অন্যকে বুঝিয়ে বলতে ব্যর্থ। নিয়তির নির্মম পরিহাসে আজ যারা মানসিক ভারসাম্যহীন তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে মানবতার আরেক উজ্জল নির্দশন সৃষ্টি করলেন শারিরীক প্রতিবন্ধী আলী।
রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা কেপিএম এলাকার শারীরীক প্রতিবন্ধী সিএনজি চালক আলী। তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় ১৫ জনের মতো মানসিক ভারসাম্যহীন প্রতিবন্ধীর মুখে একবেলার আহার তুলে দিলেন তিনি।
শুক্রবার(১০ এপ্রিল) সকাল হতে বিকেল পর্যন্ত আলী নিজের হাতে খাবার রান্না করে বের হয়ে পড়ে তার সিএনজি নিয়ে। কাপ্তাই ও রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন সড়কে ঘুরে ঘুরে পড়ে থাকা মানসিক ভারসাম্য হীনদের কাছে গিয়ে তুলে দিলেন তার নিয়ে আসা খাবারের প্যাকেট। যেই প্যাকেটে ছিল না হয়তো দামি খাবার, ছিলো কিন্ত অফুরন্ত ভালোবাসা।
সিএনজি চালক আলী জানান, করোনা ভাইরাসের প্রকোপে দেশের প্রায় সকল খাবারের দোকানাপাট বন্ধ। পূর্বে হয়তো কোন কোন দোকানদার তাদের মুখে খাবার তুলে দিতো।কিন্তু এই দুর্দিনে মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষগুলোর মুখে সামান্য খাবার তুলে দেওয়ার মতো এখন কেউ নেই। রাস্তায় অভুক্ত অসহায়ভাবে না খেয়ে পড়ে থাকে মানুষগুলো। তাই তাদের সামন্য কিছু সাহায্যে করার জন্যই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
তিনি আরো জানান, দেশের বিত্তবান ব্যাক্তিরা যেমনটা অসহায়দের পাশে দাড়াচ্ছে তেমনিভাবে সড়কে পড়ে থাকা এই অসহায় মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষগুলোর পাশেও এসে যেন দাঁড়ায়। অন্তত তাদের মুখে যেন সামান্য খাবার তুলে দেন।
আনন্দবাজার/শাহী