প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই পড়েছে মরণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাব। সাধারণ ছুটি আর বেশকিছু এলাকায় লকডাউন চলায় সবজির দাম পাচ্ছেন না কৃষকেরা। অথচ সেই সবজিই ঢাকায় বিক্রি হচ্ছে ৮-১০ গুণ বেশি দামে।
বগুড়ার গোবিন্দগঞ্জ ফাশিতলা হাটে পাইকারি দরে প্রতিকেজি বেগুন আড়াই টাকা, করলা ৮ টাকা, মুলা দেড় টাকা, বরবটি ৮ টাকা, টমেটো ৫ টাকা, কচুর লতি ১০ টাকা, ফুলকপি ৬ টাকা পিস ও পটল ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাউ ১০-১৫ টাকা পিস, মাঝারি আকারের মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা এবং সজনে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা।
সেই সবজি ঢাকার বাজারে বিক্রি হচ্ছে বহুগুণ বেশি দামে। বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার বাজারে পটল প্রতিকেজি ৬০, বরবটি ৬০, টমেটো ৩০, করলা ৪০, বেগুন ৬০, শিম ৪০, পেঁপে ৩০, কচুরলতি ৬০, আলু ২৫, মিষ্টি কুমড়া (প্রতি পিস) ৪০, লাউ ৫০ (প্রতি পিস), ডিম প্রতি পিস ১০, ফুলকপি ৫০ ও কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস ৫৫০ থেকে ৬০০ ও ব্রয়লার মুরগি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গোবিন্দগঞ্জের কৃষক ময়েজ উদ্দিন শেখ বলেন, আমরা কষ্ট করে সবজি চাষ করি কিন্ত দাম পাই না। তাছাড়া এখন অনেকে সবজি বাজারে এনে বিক্রি করতে না পেরে ফেলে দিয়ে যাচ্ছে। আবার শুনি যে, ঢাকায় বেগুন ৬০ টাকা কেজি। পুলিশ বাধা না দিলে পাইকার আসবে তখন আমরা সবজির ভালো দাম পাব।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস