চট্টগ্রাম বন্দরের ৪৫ হাজার একক কনটেইনার ধারণক্ষমতা রয়েছে। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে পণ্যের ডেলিভারি অস্বাভাবিক কমে গেছে। ফলে সেখানে জমে গেছে ৪০ হাজার একক কনটেইনার। কিন্তু বন্দর থেকে প্রতিদিন মাত্র ৫০০ একক বের হচ্ছে। এরকম চলতে থাকলে আগামী দুই দিনে বন্দরে পণ্যের স্তূপ ধারণক্ষমতা অতিক্রম করবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের দেওয়া তথ্যনুযায়ী, আগে প্রতিদিন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে চার হাজার কনটেইনার ডেলিভারি হতো। প্রতিদিন প্রায় সাত হাজার গাড়ি বন্দরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করত। সেই সংখ্যা এখন এক হাজারের নিচে নেমে গেছে। পণ্য বের হতে না পারায় প্রতিদিন সাড়ে তিন হাজার কনটেইনার বন্দরের অভ্যন্তরে জমতে শুরু করেছে।
প্রানঘাতী করোনা ভাইরাস রোধে দেশব্যাপী চলছে সাধারণ ছুটি। তাই দেশের সব কাস্টম হাউজ সীমিত করেছে দাপ্তরিক কার্যক্রম। শুধু রফতানি ও ইপিজেডের কার্যক্রম সচল রাখা, আমদানির ক্ষেত্রে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, জরুরি চিকিৎসা ও অন্যান্য সেবাসামগ্রীর শুল্কায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল কাস্টম হাউজগুলো। তবে বন্দরের পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে পেরে ৩০ মার্চ নতুন একটি অফিস আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। সেখানে কাস্টম হাউজগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, শিল্পের কাঁচামাল এবং সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার আমদানি পণ্যের শুল্কায়ন করার। আশা করা হচ্ছে এ সিদ্ধান্তে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে।
আনন্দবাজার/এস.কে