শহর কিংবা গ্রামে, গ্রাম থেকে শহর সর্বত্রই দ্রুত টাকা পাঠানোর সুবিধার কারণে দেশের বেশির ভাগ মানুষই করোনা ভাইরাসের এ মহামারীর সময়ে অর্থ লেনদেনে মোবাইল ব্যাংকিং এর ওপর ভরসা বাড়ছে। মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে লেনদেন করছেন মোবাইলে। আর দিন দিন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। করোনা ভাইরাসের এ দুর্যোগকালীন কেন্দ্রীয় ব্যাংক গ্রাহদের জন্য দিয়েছে বিশেষ ছাড়।
মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও ওষুধ ক্রয়ের ওপর চার্জ নেওয়া হচ্ছে না। লেনদেন সীমা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা হয়েছে। দৈনিক এক হাজার টাকা ক্যাশ আউট করা যাবে সম্পূর্ণ চার্জ ছাড়া।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মোবাইল আর্থিক সেবার সর্বশেষ তথ্যনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসে বেসরকারি এনসিসি ব্যাংকের এমএফএস সেবা বন্ধ রাখায় বর্তমানে দেশে মোট ১৫টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা খোলা আছে।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮ কোটি ১৮ লাখ ৫৭ হাজার। আগের মাসে যা ছিল ৮ কোটি ৯ লাখ ১৬ হাজার। তার মানে ১ দশমিক ১৬ শতাংশ গ্রাহক বেড়েছে এক মাসে।
এমএফএস এর তথ্য থেকে জানা যায়, এই সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন ও গ্রহক সংখ্যা বাড়লেও সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা কমেছে। ফেব্রুয়ারি শেষে এক মাসের ব্যবধানে সক্রিয় গ্রাহক ১৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ কমে হয়েছে ২ কোটি ৭০ লাখ ৮৭ হাজার। যা জানুয়ারিতে ছিল ৩ কোটি ৩২ লাখ ৯৪ হাজার। মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৯১৪ জন।
এমএফএস এ ফেব্রুয়ারিতে মোট ৪১ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা ৪৭ লাখ টাকার লেনদেন হযেছে। প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৪২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
এখন বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল অর্থাৎ সেবা মূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো অর্থাৎ রেমিট্যান্স প্রেরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা নিতে পারছেন গ্রাহকরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমএফএস লেনদেনের সর্বশেষ নির্দেশনা বলা হয়েছে, আগে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা জমা করতে পারতো একজন গ্রাহক। তবে এখন ৩০ হাজার টাকা ক্যাশ ইন বা জমা করতে পারবেন।
আনন্দবাজার/এস.কে