ঝিনাইদহে করোনা প্রতিরোধে নতুন করে ৫১ জন বিদেশ ফেরত সহ ৫৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ নিয়ে জেলায় মোট কোয়ারেন্টিনে রাখা হল ৪৮৪ জনকে। তবে কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় করোনার কোনো লক্ষণ না থাকায় মহেশপুর উপজেলায় ৩৭ জন প্রবাসী সহ ১৮৯ জনকে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে বলা হয়েছে। জানা যায়, এখন পর্যন্ত জেলা সদর হাসপাতালে কোনো ব্যক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে চিকিৎসকরা। এরই প্রেক্ষিতে ডিউটি শেষ করে বাড়িতে গিয়ে ঠান্ডা, কাশি ও জ্বরে অসুস্থ হয়ে পড়েন দুইজন চিকিৎসক। বর্তমানের তাদের নিজ নিজ বাড়িতে সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আয়ুব আলী জানান, আমরা শুধু করোনা চিহ্নিত ব্যক্তি বাদে অন্যদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিতে দিচ্ছি না চিকিৎসকদের। শুধু মাস্ক ব্যবহার ও অন্যান্য স্যানিটাইজেশনের কথা বলছি।
তিনি আরও জানান, যে দুই জন চিকিৎসক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাদের ছুটি নিয়ে বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। সিজনাল চেঞ্জের কারণেও তাদের এই সমস্যা হতে পারে। তবুও করোনার কথা বিবেচনা করে তাদের কয়েকদিন সতর্ক থাকাটাই ভালো। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক মেডিকেল অফিসার জানান, দেশের এমন পরিস্থিতিতেও কেন আমাদেরকে পার্সোনাল প্রটেকশনের ব্যবস্থা করছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেটা বুঝতে পারছি না। সুপার স্যারকে বার বার জানালেও তিনি কিছুই করছেন না। আমাদের দুইজন সহকর্মী অসুস্থ হয়েছে আমরাও তো হতে পারি। যদি আমরা সুরক্ষিত না থাকি তাহলে কীভাবে চিকিৎসা সেবা দেব। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন অবহেলা চলতে থাকলে তো চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।