রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাবনায় হোম কোয়ারেন্টিনে ৬৮ জন

পাবনায় প্রতিদিনই বাড়ছে হোম কোয়ারেন্টিনের সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ৩০ জনকে রাখা হয়েছে হোম কোয়ারেন্টিনে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বিকেল তিনটা পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৮ জনে। বুধবার পর্যন্ত ছিল ৩৮ জন। তবে এখন পর্যন্ত পাবানয় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মেলেনি।

এদিকে, পাবনায় বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের অনেকেই সরকারের বিধি নিষেধ মানছেনা। বিদেশ ফেরত ব্যক্তিরা অনেকেই হোম কোয়ারেন্টিনে না থেকে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আবার কেউ কেউ সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হয়ে ডাক্তারকে বাড়িতে খবর না দিয়ে নিজেই যাচ্ছেন হাসপাতালে এবং অনেকে পরিচয় গোপন করে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ অবস্থায় ভ্রাম্যমান আদালত ইতোমধ্যে ইতালী ও সৌদী আরব ফেরত দুই ব্যক্তিকে জরিমানা করেছেন।

পাবনার ডেপুৃটি সিভিল সার্জন ডা. কে এম আবু জাফর জানান, যাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে তারা সবাই বিদেশ ফেরত। তাদের মধ্যে দুইজনের দুই সপ্তাহ হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ায় এবং তাদের মধ্যে কোনো লক্ষণ দেখা না যাওয়ায় ফ্রি করে দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, জেলার আটটি উপজেলা হাসপাতালে দশটি করে এবং পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ২০টি শয্যা প্রস্তত রাখা হয়েছে। সেইসাথে পাবনা শহরের আরিফপুর আমেনা মনসুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত চারতলা ভবনকে আইসোলেশন কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে এক সঙ্গে ২‘শ মানুষকে পৃথকভাবে রেখে চিকিৎসা দেয়া যাবে। তবে এখন পর্যন্ত হাসাপাতালের আইসালেশনে কাউকে রাখা হয়নি।

অপরদিকে, পাবনা জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার কোন হাসপাতালে করোনা সনাক্তকরণ কিটস নেই বলে জানা গেছে। চিকিৎসকদের করোনা প্রতিরোধী কোন পোষাক না থাকায় তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

আরও পড়ুনঃ  আজ যেসব অঞ্চলে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডাঃ আবুল হোসেন জানান, ঢাকায় লোক পাঠানো হয়েছে পোষাকের জন্য। আশা করছি সমস্যা থাকবে না। আর করোনাভাইরাস সনাক্তকরণ কিটস স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আমাদের এখনও দেয়া হয়নি।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন