বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ঋষিপল্লীতে নারিকেল গাছের পাতার খিলেল, বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি দোলনা, র্যাক, মোড়া, ডালি, ঝুরি, কুলা, চালন, কাঠা এবং ঝাড়ুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি করে প্রায় পাঁচশতাধিক পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছেন। তবে কাঁচামালের সংকট থাকায় এখন খেজুর গাছের পাতায় ঝাঁড়ু তৈরি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছেন তারা।
এছাড়াও নারিকেল গাছের পাতার খিলেল দিয়ে তৈরি ঝাঁড়ু, বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি দোলনা, র্যাক, মোড়া, ডালি, ঝুরি, কুলা, চালন, কাঠাসহ ঋষি পরিবারের তৈরিকৃত অন্যান্য দ্রব্যাদি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছেন।
ঋষিপড়ার কারিগর নরান চন্দ্র বলেন, বংশগতভাবে এ পেশায় প্রায় ৫০/৬০ বছর যাবৎ কাজ করছি। বাঁশের সংকট ও চড়ামূল্য হওয়ার কারণে নারিকেল গাছের পাতার খিলেল, বেত ও খেজুর গাছের পাতায় ঝাঁড়ু তৈরি ও বাজারজাত করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি হওয়ার জন্য ঝাঁড়ু ও বাঁশ বেতের কাজে আগের মতো এখন আর লাভ হচ্ছে না। বাজারে প্রচুর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কাঁচামাল সংকটে চাহিদামতো মালামাল সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
আনন্দবাজার/এম.কে