সরকার এ বছর প্রথম সাত মাসেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ হাজার টাকা বেশি ঋণ নিয়ে ফেলেছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর সরকার প্রায় ৯৭ গুন বেশি ঋণ নিয়েছে।
এই ব্যাপারে বিশ্লেষকরা জানান, রাজস্ব আয়ে ব্যর্থতা ও বৈদেশিক অর্থায়ন সঠিকভাবে ব্যববহার করতে না পারায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এবং এই ঋণ নেয়ায় বেসরকারি খাত গুলতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে এবং সেই সাথে পিছিয়ে পড়ছে প্রকল্প বাস্তবায়নও।
এই ব্যাপারে পিআরআই এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মন্সুর জানান, বৈদেশিক অর্থ আরও বেশি ব্যবহার করতে পারলে দেশের ঋণের পরিমাণটা অনেকটাই কমিয়ে ফেলতে পারতাম। এবং এটা আমাদের ম্যানেজমেন্টের জন্য খুবই সহায়ক হত।
আরও পড়ুন : রেকর্ড পরিমাণ ধান সংগ্রহ হলেও ব্যর্থ চালে
কিন্তু বর্তমানে আমরা সেটা করতে পারছি না। তাই ২ দিক থেকেই চাপের পরিমাণটা বেড়ে গেছে। যার একটা হচ্ছে অভ্যন্তরীন রাজস্য খাতে ব্যর্থতা এবং অপরটি হচ্ছে বিদেশী বিনিয়োগ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যর্থতা। এই দুটি ব্যর্থতাই আমাদের প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে আমার ধারণা।
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া তথ্যনুযায়ী, বেসরকারি খাতগুলোতে ২৭ শতাংশ ঋণের প্রবৃদ্ধি কমে এখন নেমেছে ৯ শতাংশ।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে