সুনামগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত জেলায় আবাদ হচ্ছে সূর্যমুখীর। ধানের দাম না পেয়ে বিকল্প ফসল আবাদে ঝুঁকছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি রবি মৌসুমে হাওরাঞ্চলের উঁচু জমিসহ পুরো সুনামগঞ্জে প্রায় ২৭ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। এ জেলায় এটাই তেলবীজটির প্রথম আবাদ। গাছের বৃদ্ধি ভালো হওয়ায় তেলবীজের ফলনও ভালো হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা।
জানা যায়, সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে ভোজ্যতেল পাওয়া যায়। সূর্যমুখী আবাদের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের উঁচু জমিতে। চলতি মৌসুমে সুনামগঞ্জের আট উপজেলায় প্রায় ২৭ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে সদর, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, দোয়ারাবাজার ও বিশ্বম্ভরপুরে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার দাস বলেন, হাওরাঞ্চলে ধান চাষ খুব একটা লাভজনক নয়। এ কারণে আমরা কৃষকদের সূর্যমুখী ও ভুট্টার মতো লাভজনক ফসল আবাদ করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। এতে হাওরাঞ্চলের সূর্যমুখী নিয়ে কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে। অনেক কৃষক বলেছেন, তারা ধান চাষ বাদ দিয়ে আগামীতে সূর্যমুখী চাষ করবেন। জেলায় আগামীতে আরো বেশি পরিমাণে সূর্যমুখীর চাষ হবে।
আনন্দবাজার/ টি এস পি