শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনার প্রভাবে কাঁকড়া-কুঁচিয়া রফতানি বন্ধ

চীনের করোনাভাইরাসের প্রভাবে ২০ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের কাঁকড়া-কুঁচিয়া রফতানি। ফলে মারা যাচ্ছে মজুতকৃত সকল কাঁকড়া ও কুঁচিয়া । এতে বিপাকে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় ক্ষুদ্র ও সরবরাহকারী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান।

মৎস্য দফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, এখন যে অবস্থা তাতে কাঁকড়া-কুঁচিয়া রফতানির বিকল্প বাজার খোঁজার বিকল্প নেই। তবে চীন অতি সম্প্রতি আশ্বস্ত করায় পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।

জানা যায়, খুলনার পাইকগাছা উপজেলা  থেকে গত বছর ৪ হাজার ১০০ টন কাঁকড়া ও ৩০০ টন কুঁচিয়া উৎপাদন হয়। উৎপাদিত কাঁকড়া ও কুঁচিয়া চীন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও হংকংসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি হয়ে থাকে। যার মধ্যে ৯০ ভাগ কাঁকড়া শুধুমাত্র চীনেই রফতানি হয়। মাস খানেক আগে চীনে করোনাভাইরাস দেখা দেওয়ায় গত ২৫ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ থেকে চীনে কাঁকড়া ও কুঁচিয়া রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিপাকে পড়েন এই এলাকার সরবরাহকারী, ব্যবসায়ী, খুচরা বিক্রেতা ও উৎপাদনকারী চাষিরা।

২০ দিন রফতানি বন্ধ থাকায় ধস নেমেছে কাঁকড়া ও কুঁচিয়া ব্যবসায়। অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে অলস সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান চালু রাখলেও সরবরাহ ও কেনাবেচা নেই বললেই চলে। দামও নেমে এসেছে কয়েকগুণ।

কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেবব্রত দাশ বলেন, সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ৫০০ ডিপো রয়েছে। গত ২৫ জানুয়ারি থেকে করোনাভাইরাসের কারণে চীনে রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ ডিপো বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক কর্মচারীকে ছুটি দেয়া হয়েছে। চীনের ব্যাংকগুলোতে বর্ষবরণের ছুটি থাকায় কোটি কোটি টাকা চীনে আটকা পড়েছে। যার ফলে আমরা যারা সরবরাহকারী ব্যবসায়ী রয়েছি আমাদের লাখ লাখ টাকা আটকা পড়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ঝুঁকির মুখে সম্ভাবনা

এ প্রসঙ্গে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাস বলেন, এমন পরিস্থিতিতে সরকারের কাছ থেকে আমরা এখনও কোনো নির্দেশনা পাইনি। এটা মূলত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ। তবে আমরা বসে নেই। বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।

আনন্দবাজার/ রনি

সংবাদটি শেয়ার করুন