রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে বিনা ঘুষে কোনও সেবা পাওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। বুধবার ২৯ জানুয়ারি মাইডাস সেন্টারে ‘রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রাজউক থেকে বিনা ঘুষে সাধারণ মানুষ সেবা পেয়েছেন, এমন ঘটনা বিরল। রাজউক কর্মকর্তা, দালাল ও সেবাগ্রহীতাদের একাংশের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আঁতাতের মাধ্যমে চুক্তি করে সুনির্দিষ্ট হারে ঘুষ নেওয়া হয়। রাজউকে দুর্নীতি ও অপব্যবস্থা রয়েছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে।
টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাড়পত্র এবং নকশা অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করার জন্য অবৈধভাবে অর্থ নেন রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্রের জন্য জরিপ বাবদ গ্রাহক থেকে নেয়া হয় দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা। রাস্তা প্রশস্ত দেখানোর জন্য ব্যক্তির কাছ থেকে নেয়া হয় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, দশতলা ভবন নির্মাণের জন্য ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র বাবদ ব্যক্তিকে ১৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা এবং ডেভেলপারদের দিতে হয় এক লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা।
দশতলার ঊর্ধ্বে ভবনের জন্য ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র বাবদ ডেভেলপারদের দিতে হয় তিন থেকে ১০ লাখ টাকা। দশতলা পর্যন্ত নকশা অনুমোদনের জন্য ব্যক্তিকে ৫০ হাজার থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা এবং ডেভেলপারদের দিতে হয় দুই থেকে দশ লাখ টাকা।
তবে রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারদের ঘুষ হিসেবে দিতে হয় ১৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা। বড় প্রকল্পের জন্য ডেভেলপারদের দিতে হয় ১৫ লাখ থেকে দুই কোটি টাকা পর্যন্ত।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস