ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তামাক ছেড়ে তরমুজ চাষেই আগ্রহী কৃষকরা

গত ১০ বছর ধরেই কুষ্টিয়ার মিরপুরে যেসব জমিতে তামাকের দাপট দেখা গেছে, সেসব জমিতেই আজ নেই কোন তামাকের অস্তিত্ব। তামাকের পরিবর্তে জমিতে এখন তরমুজের চারা রোপণ করেছে কৃষকরা।  বিভিন্ন তামাক কোম্পানির অনুপ্রেরনার ফলে বিগত দিনে তামাক চাষে ঝুঁকতো কৃষকরা।

কিন্তু এবছর তামাক চাষ থেকে অনেকটা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন কৃষক। বিগত দিনে তামাক চাষের কারণ হিসেবে কোম্পানির প্রলোভন ও কৃষকদের অসচেতনতাকে দায়ী করছেন। এলাকায় একেবারেই নতুন হলেও তরজুম চাষে বেশ আগ্রহ দেখিয়েছেন কৃষকরা। কৃষকরা বলছেন যেকোনো আবাদ করেই তামাককে নীল চাষের মতো বিতাড়িত করার পরিকল্পনা করছেন তারা।

স্থানীয় চাষী নিয়াত আলী লালু জানান, মূলত এই অঞ্চলে আমরা আখের চাষ করতাম। আখ নিয়ে সুগারমিলের অনিয়ম আর হয়রানি কারণে আমরা আখ চাষ বন্ধ করে দিয়েছি। সেই সুযোগটা কাজে লাগায় তামাক কোম্পানিগুলো। তারা আমাদের বীজ, সার, কীটনাশক, পরামর্শ, চাষের জন্য লোনসহ নানা প্রলোভন দেখায়। আর কৃষকরা তামাকে ঝুঁকে পড়ে। তামাক কেনার ক্ষেত্রে কার্ড চালু রয়েছে। আমরা কোম্পানির বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলেই কার্ড কেটে যাবে এই ভয় থাকতাম আমরা। তামাক চাষ করে আমরা মাটির উর্বরতা নষ্ট করে ফেলেছি প্রায়।

আরও পড়ুন : বিশ্বব্যাংক উন্নত সড়কনিরাপত্তা বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বাড়াবে

এই ব্যাপারে মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রমেশ চন্দ্র ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, উপজে লার কৃষকরা এক সময় তামাক চাষের দিকে বেশি ঝুঁকতো। কিন্তু বর্তমানে কৃষি অফিসের পরামর্শে এবং তামাক চাষের কুফল সম্পকে সচেতনতা বাড়ার কারণে অনেকটাই তামাক চাষ থেকে বেরিয়ে আসছে। তামাকের বিকল্প ফসল চাষাবাদে ঝুঁকছেন।

তিনি আরও জানান, তরমুজ চাষ খুবই লাভজনক। আমরা তরমুজ চাষ সম্প্রসারণের জন্য কৃষকদের পরামর্শ ও উৎসাহ দিচ্ছি। এবছর মিরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের সদরপুর, আজমপুর, কাকিলাদহ, মল্লিকপাড়াসহ বেশ কিছু এলাকায় তামাকের পরিবর্তে তারা তরমুজ চাষ করেছেন। এলাকায় নতুন হওয়া সত্ত্বেও তরমুজ চাষ খুবই সাড়া ফেলেছে চাষিদের মধ্যে। আমরা চেষ্টা করছি, সার্বক্ষণিক তাদের পাশে সেবা দেওয়ার জন্য।

আনন্দবাজার/এইচ.এস.কে 

সংবাদটি শেয়ার করুন