ঝিনাইদহে কৃষকের অ্যাপসের মাধ্যমে আবেদন করা লটারিতে নির্বাচিত কৃষাণীরা ঝিনাইদহ সদর খাদ্যগুদামে ধান বিক্রয় করেছেন। সম্প্রতি লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত কৃষাণী হামিদা বেগম ধান বিক্রয় করেছেন।
হামিদা বেগম অ্যাপসের মাধ্যমে ১৬০০ কেজি(৪০মন) ধান বিক্রয় করেন। হালিমা বেগম ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের হলিধানী গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী। এসময় উপস্থিত ছিলেন নারী সাংবাদিক ময়না খাতুন,টেকনিক্যাল ইন্সপেক্টর জিন্নাত জাহান, সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজনুর রহমান প্রমুখ।
বুধবার থেকে শুরু হয়ে অ্যাপসের মাধ্যমে এ ক্রয় অভিযান চলবে আগামী ২৮ ফেব্রয়ারি পর্যন্ত। ভারপ্রাপ্ত জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ আনোয়ারুল করিম খাদ্যগুদামে ধানক্রয়ের সময় পরিদর্শন করেন ও আদ্রতা ১৪ % রাখতে কৃষক ও কৃষাণীদের পরামর্শদেন। তাছাড়া তিনি আদ্রতা ১৪ % এর বেশী হলে ধান শুকিয়ে আনার জন্য উপস্থিত কৃষকদের সাথে এ্যাডভোকেসি করেন।
সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজনুর রহমান জানান, হলিধানী ইউনিয়নে ৯৪ জন পুরুষ ও ২জন নারী কৃষানী লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন।
ভারপ্রাপ্ত জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ আনোয়ারুল করিম জানান, চলতি মৌসুমে সদর উপজেলায় অভ্যন্তরীণ আমন ধান সংগ্রহে এ্যাপসের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কৃষক আবেদন করেন। এর মধ্যে ২১’শ ২৮ জন কৃষকে ‘কৃষকের অ্যাপস’ মাধ্যমে লটারী করে নির্বাচিত করা হয়। ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বড় কৃষকদের কাছ থেকে এ ২৬ টাকা কেজি দরে ২৭’শ ৬১ মেট্টিকটন ধান ক্রয় করা হবে।
আনন্দবাজার/শাহী