ঝিনাইদহ কালিগঞ্জের কৃষক গোলাম রহমান (৪৫)। আধুনিক পদ্ধতিতে বাউ’কুল চাষ করে সাড়া ফেলেছেন পুরো এলাকায়। তিনি ৪ বিঘা জমিতে বাউকুল চাষ করে মাত্র ৯ মাসেই আয় করেছেন প্রায় ২লক্ষাধিক টাকা।
গোলাম রহমান জানান,বেশ কয়েক বছর যাবৎ বাউ’কুল চাষ করে আসছেন তিনি। কিন্তু কুল বেশি বড় না হওয়ায় কাঙ্খিত সাফল্য এতদিন আসেনি। তাই এবছর তিনি আধুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করে বাউকুলে পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার করেছেন। এতে করে কুল বেশ বড় আর মিষ্টি হয়েছে। কুল বড় হওয়ায় বাজারে দামও বেশি পেয়েছেন। আগে যেখানে কেজি ২০ টাকার বেশি পাওয়া যেতনা সেখানে এইবার তিনি ৫০ টাকায় এই কুল বিক্রি করেছেন। যদিও এক কেজি কুলে পলিথিনের ব্যাগ দিতে ৬ থেকে ৭ টাকা খরচ হয় তারপরেও বাজার দর ভালো পাওয়ায় সাধারণ ভাবে কুল উৎপাদন থেকে এই পদ্ধ্বতিতে কুল উৎপাদন করা অনেক বেশি লাভজনক।
আরও পড়ুনঃ শৈলকুপায় ৫০ গ্রামের কান্না
তিনি আরও বলেন, কুলের চারা মার্চ মাসে লাগালে ভালো হয়। সেক্ষেত্রে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে কুল তোলা যায়। এসময় কুলের ফলন ও দাম ভালো পাওয়া যায়। অন্যদিকে এক বিঘা (৩৩শতাংশ) জমিতে ১২০ টির মত কুলের চারা লাগানো যায়। কুল চাষে টিএসপি, ইউরিয়া, পটাশ ও জৈব সার পরিমাণ অনুযায়ী প্রয়োগ করা হয়। ছত্রাক নাশক ও পোকা দমনের জন্য অল্প বিস্তার পরিমানে কিট নাশক ব্যবহার করতে হয়।
কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিম জানান, কৃষক গোলাম রহমান এর মত আদর্শ কৃষক দের জন্য আমরা সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে রাখি। তিনি কৃষি অফিসের মাধ্যমে গঠিত সিআইজিভূক্ত একজন কৃষক। তাছাড়া গোলাম রহমান প্রায় ২২ বিঘা জমির উপর গড়ে তুলেছেন বিশাল কৃষি খামার। সেখানে তিনি বাউ কুল, কলা, আলু, করলা,পটল, শসাসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল তিনি আবাদ করে থাকেন।
আনন্দবাজার/শহক