ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোজ্যতেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী আন্তর্জাতিক বাজারে 

উৎপাদন কমছে পাম অয়েলের কিন্তু বৃদ্ধি পেয়েছে চাহিদা। পাম অয়েলের মজুদ কমার সাথে সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে সরবরাহ সংকট। গেলো বছরের শেষ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়তে শুরু করেছে ভোজ্যতেলের দাম। গত তিন মাসে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণ। ধরন বুঝে টন প্রতি ১০০ ডলার পর্যন্ত বেড়েছে এই তেলের দাম।

 ভোজ্যতেলের বাজার চাঙ্গা করতে পাম অয়েলের দাম বৃদ্ধি প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। কিন্তু কৃষি পণ্যটির বৈশ্বিক উৎপাদন দিন দিন কমছে। এ ধারা চলতি বছরেও অব্যাহত থাকতে পারে। এদিকে পাম অয়েলের ব্যবহার বাড়ছে শীর্ষ উৎপাদক ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বজুড়ে । বিশেষত বায়োডিজেল উৎপাদনে।

আরও পড়ুনঃ শুরু হয়েছে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কাজ

খাতসংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, পাম অয়েলের বৈশ্বিক ব্যবহার আগের বছরের তুলনায় ৬০ লাখ টনের মতো বেড়েছে। যা পণ্যটির উৎপাদন বৃদ্ধির তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। দ্রুতগতিতে উৎপাদন কমার বিপরীতে চাহিদা বাড়ায় পণ্যটির বৈশ্বিক মজুদ কমছে।

পাম অয়েল ও অন্যান্য তেলের দামে কমায় ক্রেতারা ঝুঁকেছেন সস্তা পরিপূরক ভোজ্যতেলের দিকে। তবে বিদায়ী বছরের শেষার্ধে চাহিদার তুলনায় সয়াবিন ও সরিষা তেলের বৈশ্বিক সরবরাহ ছিল সংকটপূর্ণ। পণ্যবাজার বিশ্লেষকরা জানান, বাজারে পাম অয়েলের পর্যাপ্ত সরবরাহ না হওয়া পর্যন্ত ভোজ্যতেলের দরপতনের কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না তারা।

আনন্দবাজার/ এইচ.এস.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন