শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শৈলকুপায় ৫০ গ্রামের কান্না

শৈলকুপা উপজেলার কুমার নদ এখন ৫০ গ্রামের মানুষের কান্নায় পরিণত হয়েছে। যুগের পর যুগ ধরে এসব গ্রামের মানুষ নদী পারাপারের জন্য একটি ব্রীজের দাবী জানিয়ে আসছে। কিন্তু তাদের সেই দাবী এখনো পূরণ হয়নি।

জানা যায়, এক সময় নদী কেন্দ্রিক ব্যবসা বন্দর ছিল নাগিরাট বাজার। কিন্তু একটি ব্রীজের অভাবে এই বাজার ইতোমধ্যে তার যৌবন হারিয়েছে। এলাকার জনগনের  দাবী নাগিরাট বাজারে একটি ব্রীজ নির্মাণ হলে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ জনগনের দূর্ভোগ কমবে আসবে। পাশাপাশি নাগিরাট বাজার ফিরে পাবে তার হারানো যৌবন।

সরেজমিনে দেখা যায়,নাগিরাট বাজারে বর্তমানে একটি খেয়া ঘাট রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে জনসাধারন নদী পারাপারের জন্য নৌকা থাকলেও বর্তমানে পানি কম থাকায়  জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাকো দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছে  ৫০ গ্রামের প্রায় লক্ষ্যাধিক মানুষ। তাছাড়া, বর্ষা মৌসুমে  নদী পানিতে পরিপূর্ন হলে খেয়া নৌকা ছাড়া পার হবার কোন উপায় থাকেনা। প্রতি দিন স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরাসহ হাজার হাজার জনসাধারন নদী পার হয় এই নদী ঘাট দিয়ে । ইতি পূর্বে, এই ঘাট দিয়ে খেয়া নৌকা পার হতে গিয়ে মৃতে্যুর ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার। অন্যদিকে, জনসাধারণের মালামাল নিয়ে পার হতে হিমশিম খেতে হয় প্রতিনিয়ত।

এইঘাট দিয়ে নদীর উত্তরে মাধবপুর,দোহানাগিরাট,শিতালী,দলিলপুর,আওধা,কমলনগর,বগুড়া, লাঙ্গলবাঁধ,ডাউটিয়া,নন্দিরগাতি,ধাওড়া,ধলহরাচন্দ্র,চরধলহরা,বরিয়া,ছাঁইভাঙ্গা, কুশবাড়িয়া, পাইকেনপাড়া,সহ আরো বেশকিছু গ্রাম এবং দক্ষিণে রয়েড়া,আড়য়াকান্দি,ভান্ডারীপাড়া,কাশীপুর,শেখড়া,গোপালপুর,বাগুটিয়া,নাকোইল, ফলিয়া,রঘুনন্দনপুর,আশুরহাট,মনোহরপুর,নিত্যানন্দপুর,সাবাসপুর, হাটফাজিলপুর সহ প্রায় ৫০ গ্রামের লোকজন পার হয়। ব্রীজ না থাকায় পণ্য পরিবহন গুনতে হয় দ্বিগুণ টাকা। যেখানে প্রতি  মণ মালামাল বাজারজাত করতে পরিবহন খরচ হওয়ার কথা ২০ থেকে ৩০ টাকা সেখানে এলাকা বাসীর খরচ হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা ।

আরও পড়ুনঃ  রাজধানীতে বসছে ১৭টি পশুর হাট

নাগিরাট গ্রামের মো: নজরুল ইসলাম বলেন, প্রায় ৪০-৫০গ্রামের লোকজন চলাফেরা করে এই ঘাট দিয়ে, তাই জরুরী হয়ে পড়েছে নাগিরাট ঘাটে একটি ব্রীজ। মাধবপুর গ্রামের আরেক বাসিন্দা ডা: মাসুদ ও তাপস বলেন, নাগিরাট বাজারে একটি ব্রীজ এখন সময়ের দাবী। এখানে একটি ব্রীজ হলে অবহেলিত ৪০-৫০ গ্রামের মানুষ উপকৃত হবে।

এ ব্যাপারে খেয়া ঘাটের দায়িত্বে থাকা মাঝি লাড্ডু কুমার জানান তার বাপ দাদুরা নৌকায় জনসাধারন কে পারাপার করত আমরা সেটা ধরে রেখেছি । তবে সরকারী ভাবে এ খেয়া ঘাট বন্ধোবস্ত নেওয়া হয়না । প্রতিদিন ২/৩শ টাকা আয় হয় তাতে কোন রকম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জীবন যাপন করি । নাগিরাট বাজারের খেয়া ঘাটে  ব্রীজ নির্মাণের জন্য উর্দ্বতন কতৃপক্ষের দিকে তাকিয়ে রয়েছে এলাকাবাসীরা।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন