ঢাকা | মঙ্গলবার
৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাবি শিক্ষককে জবি থেকে আটক

ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৭ জুলাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার অন্যতম মদদদাতা বিশ্ববিদ্যালয়টির (জবি) দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমদকে আটক করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েরে শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমেদ তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে। এরপর কোতোয়ালি থানার ওসিকে কল দিয়ে জানান শিক্ষার্থীরা। এরপর কোতোয়ালি থানার ওসি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় অধ্যাপক ফরিদ আহমেদকে থানায় নিয়ে যান।

অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমেদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষক। সম্প্রতি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করার ইন্ধনকারী হিসেবে অভিযোগ এনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে। এছাড়া তার নামে আশুলিয়া থানায় মামলা আছে বলে জানান আটক করা শিক্ষার্থীরা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে গুলি করে হত্যার অনুমতির পক্ষপাতিত্ব অবলম্বন ও তাদের রাজাকার বলে আখ্যায়িত করার প্রতিবাদে দর্শন বিভাগে অধ্যাপক ফরিদ আহমেদকে অবাঞ্চিত ঘোষণা ও তাকে চাকুরি হতে অব্যহতি প্রদানসহ মোট চার দফা দাবি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মুনির তালুকদারের নিকট সাধারণ শিক্ষার্থীরা (৪৭-৫২) একটি স্মারকলিপি প্রদান করে। এর আগে শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক ফরিদ আহমেদের অপসারণের দাবিতে নতুন কলা ও শহীদ মিনার চত্বরে মিছিল ও বক্তব্য পেশ করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ ১০ টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসেন। খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা তাকে একটি রুমে আটক করেন। এরপর কোতোয়ালি থানার ওসি ক্যাম্পাসে আসলে ওই শিক্ষককে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু এই শিক্ষকের নামে মামলা কোতোয়ালি থানায় হওয়ায় তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তারা আশুলিয়া থানার সাথে যোগাযোগ করছে।

এ বিষয়ে জানতে কোতোয়ালি থানার ওসিকে ফোন দেওয়া হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

সংবাদটি শেয়ার করুন